সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
একটি ব্রিজের অভাবে ৫৩ বছর যাবত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ও শিয়ালকোল ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষের। কৃষি পণ্য ধান, পাট ও সবজি পরিবহনে ব্যাহত হওয়ায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
পারাপারের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে। অসুস্থ রোগী নিয়ে ভুগতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও ৫৩ বছরে নির্মাণ হয়নি ব্রিজটি। এ অবস্থায় জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ও বহুলী ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ইছামতী নদী। জনসাধারণের নদী পারাপারের পয়েন্ট একমাত্র সরাইচন্ডি ঘাট। ঘাটটিতে ব্রিজ না থাকায় দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষকে ৫৩ বছর যাবত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নদীতে যখন পানি কম থাকে, তখন গ্রামবাসী সাকো নির্মাণ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। অনেক সময় সাঁকো পার হতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। আর বর্ষায় সাঁকো তলিয়ে যাওয়ায় পারাপার হতে না পারায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ভুক্তভোগীরা বলছে, ব্রিজটির অভাবে ৩০টি গ্রামের কৃষক কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে পারছে না। নদীর পূর্বপাড়ে স্কুল-কলেজ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে কলেজে যেতে না পাড়ায় অকালে শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে পড়ছে। গর্ভবতীসহ মুমূর্ষু রোগীকে সময় মতো হাসপাতালে নিতে না পারায় অনেকে মারা যাচ্ছে।
স্থানীয় সবুজ আলী, আজহার আলীসহ অনেকে জানান, স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সরকারের জনপ্রতিনিধিরা ইছামতি নদীর উপর সরাইচন্ডি ঘাটে ব্রিজ নির্মাণে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ৫৩ বছরেও কেউ বাস্তবায়ন করেনি। এ অবস্থায় ৩০ গ্রামের মানুষের জনদুর্ভোগ কমানোসহ কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমি জয়েন করার পর লোকমুখে শুনতে পেরেছি ব্রিজের ডিজাইন হয়েছে। কিন্তু আসলে সত্য নয়। মূলত ব্রিজটি নিয়ে কোনো ধরনের প্রস্তাবনাও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দেওয়া হয়নি। তবে জনস্বার্থে ব্রিজটি নির্মাণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অবহিত করা হবে।