নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হাফেজ সোলাইমানের (১৯) লাশ কবর থেকে তুলতে গেলে বাধা দেন তার পরিবার।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর মাদ্রাসা এলাকার কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাশ তুলতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট দুপুরে চিটাগং রোড এলাকায় দুষ্কৃতকারীর গুলিতে নিহত হন হাফেজ সোলাইমান। পরে পথচারীরা তাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দিন ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়।
গত ২২ আগস্ট নিহতের বোনজামাই শামীম কবির বাদী হয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ হত্যার ঘটনায় মামলা করা হলে লাশ ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। আদালতের নির্দেশে সোমবার লাশ তুলতে গেলে নিহতের পরিবার আপত্তি জানায়। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী অপেক্ষা করেও লাশ না তুলতে না দেওয়ায় ফিরে আসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তামশিদ ইরাম খান।
স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে হাফেজ সোলাইমানের কবর থেকে লাশ তুলতে আসেন। এ সময় মামলার বাদী তার বোনজামাই এসে লাশ তুলতে বাধা দেন।
মামলার বাদী বলেন, এখানে যে আজকে লাশ তুলতে আসবে তা আমাদের জানানো হয় নাই। যখন আমরা শুনতে পাই আমার শ্যালকের লাশ তুলতে এসেছে, তখনই দ্রুত লাশ তুলতে না করি। আমরা পারিবারিকভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি এ মামলা চালানোর জন্য লাশ তুলতে হয়, তাহলে আমরা আদালতে গিয়ে এ মামলা প্রত্যাহার করব। তবুও কবর থেকে লাশ তুলতে দেব না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তামশিদ ইরাম খান বলেন, আদালতের নির্দেশে সোমবার আমরা লাশ তুলতে এসেছি; কিন্তু নিহতের পরিবার আমাদের লাশ তুলতে দেয়নি। তারা বলেছেন, লাশ তুলতে হলে তারা মামলা প্রত্যাহার করবেন। বিষয়টি আমরা আদালতে জানাব।