বিনোদন ডেস্ক:
দীর্ঘ আলোচনা-সমালোচনা শেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আদালতের সর্বশেষ রায় অভিনেত্রী নিপুণের পক্ষে আসে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই বলে জানান আদালত। রায় পেয়েই পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন নিপুণ।
রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে সমিতির কার্যকরী কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণের নেতৃত্বের এই মিটিংয়ে হাজির হোন মিশা-জায়েদ খানের প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
সভা শেষে গণমাধ্যমে ডিপজল বলেন, ‘আমি শিল্পী সমিতি-টমিতি বুঝিনা। আমি সবসময় শিল্পীদের পাশে ছিলাম, এখনও আছি। আমি শুধু জানি চলচ্চিত্র ও শিল্পীদের স্বার্থে আমাদের একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে হবে। আমিও আগেও সমিতির মধ্যে বিভাজন ও দ্বন্দ্ব চাইনি, এখনও চাই না। এগুলো আমি পছন্দও করিনা।’
ডিপজল বলেন, ‘দুই বছরের মেয়াদের কমিটির দ্বন্দ্ব করতে করতে ইতোমধ্যে এক বছর চলে গেলো। দ্বন্দ্ব করে কি লাভ হলো। তার চেয়ে যে এক বছর আছে সবাই মিলিয়েই শিল্পীদের জন্য কি কি ভালো করা যায় সেটা ভাবি। তা নিয়ে কাজ করি।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন প্রাথমিক ফলাফলে জায়েদকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ।
আপিল বোর্ড সমাজসেবা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তর এক চিঠিতে জানায়, আপিল বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের লিভ টু আপিল গ্রহণ করেন আদালত।