আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ এবারের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ফকিরহাট মহিলা কলেজ থেকে কোনও শিক্ষার্থী পাস করেননি। এই কলেজ থেকে শুধু মাত্র ২ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। গত বছরও কলেজটি শতভাগ অকৃতকার্যের তালিকায় ছিল।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
ফলাফল বিপর্যয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফকিরহাট মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আবু তাহের খন্দকার নব। তিনি বলেন, ফকিরহাট মহিলা কলেজ থেকে ২ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই ২ শিক্ষার্থী ফকিরহাট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে তারা ২ জনই অকৃতকার্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কলেজটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুধুমাত্র পাঠদানের অনুমতি নিয়ে কলেজটি চালানো হয়। এরই মধ্যে কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগসহ সৃষ্ট দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে বসেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কলেজটির নিজস্ব কোনও জায়গা এবং অবকাঠামো নেই। কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা দাবিদার তাহের খন্দকার তার বড় ভাইয়ের জমিতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে কলেজটি প্রতিষ্ঠা দেখান। কিছু দিন আগে সেই জমিও দখলে নেন তার ভাই। বর্তমানে কলেজে কোনও ছাত্র-ছাত্রী নেই। অথচ শুধু সাইনবোর্ড দেখিয়ে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আবু তাহের খন্দকার একাধিক শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন।
এবার এইচএসসি পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলে দিনাজপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে গাইবান্ধা জেলা। এই জেলার পাসের হার ৭৬.৮০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪৯৮ জন শিক্ষার্থী।