নরসিংদী প্রতিনিধি:বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ প্রধান উপদেষ্টা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব ছিল সরকার ও রাষ্ট্রের। যা বর্তমান সরকার পুরোপুরি করতে পারেনি। নিহত ব্যক্তিদের পুরো তালিকা তাদের কাছে কেন নেই?’
আজ শুক্রবার দুপুরে নরসিংদীর মাধবদীর মেহেরপাড়ায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ আরমান মোল্লার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রিজভী এই কথা বলেন। পরে আরমান মোল্লার স্ত্রী-সন্তানদের হাতে নগদ অর্থসহায়তা তুলে দেন তিনি।
শহীদ আরমান মোল্লার পুরো দায়িত্ব ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নিয়েছে জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সব শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পুরো দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে। আজকে যারা জুলাই আন্দোলনের সুফল পাচ্ছেন, যারা উপদেষ্টাসহ বড় বড় পদ পাচ্ছেন এমনকি রাজনৈতিক দল গড়ে তুলছেন তাদের উচিত আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের আরো বেশি খোঁজখবর নেওয়া।
রিজভী বলেন, ‘আজকে আমরা যতটুকু স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি, এর জন্য যারা নিজের জীবন দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম শহিদ বীর আরমান মোল্লা। তিনি জীবন দান করেছেন দেশে মুক্ত বাতাস কেনার জন্য, সেই পরিবারের সন্তানরা বাড়িতে না থেকে এতিমখানায় থাকতে হবে এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা আরমানের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এখানে এসেছি।
এ ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের পর গণমানুষের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি এই পরিবারের দায়িত্ব নেন এবং আমাদেরকে তিনিই এই বাড়িতে পাঠিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা আবুল কাশেম, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মেহের পাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ. রশিদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ জুলাই নরসিংদীর শিলমান্দী ইউনিয়নের সামনে আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আরমান। বর্তমানে আরমান মোল্লার স্ত্রী সালমা বেগম তিন সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তার বড় মেয়ে মাহি (১০) ও ছেলে রাফিকে (৭) দিয়েছেন এতিমখানায়, আর ছোট মেয়ে আফরামনিকে (৩) নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।