অনলাইন ডেস্ক:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ও যুদ্ধাপরাধী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির আওতায় আনার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রুবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসি হোটেলে আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতা-কর্মী ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দেশটির কাছে অনুরোধ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী খুনিদের আশ্রয় দেওয়া সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের কথা বলে। খুনিরা এমনকি নারীসহ চার বছরের শিশুকেও রেহাই দেয়নি। সামরিক স্বৈরশাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দায়মুক্তির সংস্কৃতির রাজনীতির সূচনা করেছিলেন।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কিছু সংস্থা বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছে এবং দুই ভারতীয়র নাম অন্তর্ভুক্ত করে একটি তালিকা (নিখোঁজের শিকার) দিয়েছে। কিন্তু, তাদের এখন বিএনপির মিছিলে দেখা যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দ্বারা নির্মিত ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধার জন্য কিছু লোক প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যা খুশি বলছে। তিনি তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মিথ্যা অভিযোগ এনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিলেন। কিন্তু, আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় আঞ্চলিক ও স্থানীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী মার্কিন রাজনীতিবিদদের কাছে এই সব বিষয় উপস্থাপন করতে বলেন, ‘যখন তাঁরা তাঁদের ভোটের সময় অভিবাসী বাংলাদেশিদের কাছে ভোট চাইতে আসেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের উচিত বিদেশিদের কাছে প্রকৃত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা। তিনি তাদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, যে কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে পাসপোর্ট ব্যবহার করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।