অনলাইন ডেস্ক:
আজকের ব্যস্ত সময়ে দুই মিনিট বসে থাকার উপায় নেই। অথচ শরীর-মনজুড়ে ক্লান্তি আর ক্লান্তি। অনেকের সকালে অফিস যেতে অনীহা, বাড়ির কাজকর্মে অনীহা, নতুন কিছু করা বা শেখার আগ্রহেও অনীহা। সব কিছুতেই আগ্রহ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। শরীর ও মনে যেন কোনো শক্তিই নেই। এসব সমস্যা কিছু খারাপ অভ্যাসের কারণেই হয়, তা কিন্তু নয়। বরং এই আলসেমির নেপথ্যেও রয়েছে অন্য কারণ। আর এ সমস্যার সমাধান দিচ্ছে দুই ধরনের ভিটামিন।
চিকিৎসকরা বলছেন, অলসতা সবসময় ইচ্ছাকৃত নয়—অনেক সময় দুই ধরনের ভিটামিনের ঘাটতির কারণে এমনটি হতে পারে।
অনেকের সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরও শরীর চাঙা লাগে না, কোনো কাজেই উৎসাহ পান না। দিনভর শুয়ে-বসে থাকতে মন চায়। এমন সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই।
চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত আলস্য, ক্লান্তি ভাব বা ঝিমুনির কারণ কিন্তু ভিটামিনের অভাব। শরীরে ভিটামিন ও খনিজের নির্দিষ্ট ভারসাম্য আছে। তা ঠিক না থাকলে পেশির ক্লান্তি বাড়ে। শরীরের দুর্বলতাও বাড়ে।
দুই ধরনের ভিটামিনের ঘাটতিতে এমন হয়
ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতির কারণে এমন হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ভিটামিন ডি-র অভাব হলে ক্লান্তি, ঝিমুনি ও শারীরিক দুর্বলতা অনেক বেড়ে যায়। হাড়, ত্বক, চুল, নখ, মানসিক স্বাস্থ্য অর্থাৎ শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক থাকা জরুরি। ভিটামিন ডি-র অভাব হলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া এবং হাঁটুতে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা যায়।আবার ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হলেও ক্লান্তি বেড়ে যায়। অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। এই ভিটামিনের অভাবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ে। মানসিক রোগের কারণও হতে পারে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি। এছাড়া হাত-পা কাঁপা, পেশির অসাড়তা, পেশিতে টান ধরা ও ঝিমুনি ও মাথা ঘোরার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকরা আরও বলছেন, অলসতা কাটাতে হলে জীবনযাপনে কিছু প্রয়োজনীয় বদল আনতে হবে। ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান, রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম এবং প্রতিদিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করাও জরুরি।