হোসেন মনির:
হেমন্ত প্রকৃতিতে প্রভাব ফেলেছে সেই সাথে শেষ রাতে জানান দিচ্ছে শীত এসে যাচ্ছে। ঋতুর চেয়ে শীতের আগমন যেন এক ভিন্ন মাত্রা। দক্ষিণে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ বছরের মতো বিদায় নিচ্ছে বর্ষা। তাপমাত্রাও কমে গেছে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও গভীর রাত থেকেই শুরু হয় কুয়াশা পড়া। ভোরের হালকা কুয়াশা সেই সাথে ঘাসের মাথায় শিশির বিন্দু জানিয়ে দিচ্ছে দক্ষিণঞ্চলে আসছে শীত। পৌষ-মাঘ এই দুই মাস শীতকাল ধরা হলেও আশ্বিন-কার্তিকের দিকেই গুটি গুটি পায়ে শীতের বার্তা জানান দেয়।
আজ সকালে সাংবাদিক মাহফুজ নান্টু ক্যামেরায় আদর্শ সদর উপজেলার বানাশুয়া বিভিন্ন জায়গায় এমনি দৃশ্যটি চোখে পড়ে। দিনের তীব্র গরম শেষে গভীর রাতে থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া সঙ্গে নামছে কুয়াশা। শীতের আগমনে দেখা দিয়েছে কিছুটা স্বস্তি। শীতের সঙ্গে সঙ্গে সকালে ঘাসের ডগায় শিশির জমছে। কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশার সঙ্গে যেন উঁকি মারছে শীত। প্রকৃতিতে এখন এমনই ঋতু বাদলের আয়োজন। শীতের পোশাক উঠাতে শুরু করেছেন দোকানে এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও বর্ষার ঘনঘটা শেষ করে কার্তিকের কোল জুড়ে শীত বার্তা ।
এখন প্রতিটি সকালে ঘাসে কিংবা গাছের কচি পাতায় মুক্তার মতো জ্বলজ্বল করে শিশির বিন্দু। কুয়াশা ভেদ করে পূর্ব দিগন্তে সূর্যের উদয়। ক্যাম্পাসের দিগন্ত জোড়া মাঠ ও পিচঢালা পথে শীতের আমেজ বিরাজ করছে। সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক। দূর থেকে দেখলে মনে হয় প্রতিটি ঘাসের মাথায় যেন মুক্তোর মতো শিশির কণা জমে আছে। আর শীতের এই হাওয়া অনুভব করতে সড়কে হাটা চলা করছেন অনেকই। কুয়াশায় চাদরে ঢেকে আছে রাস্তা-ঘাট। সড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে হেডলাইট জ্বালিয়ে। এসবই জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে এসেছে শীত। দিন গরম থাকে ভোরে এই শীতের হাওয়া টা অনেক সুন্দর থাকে। বিশেষ করে মাঠে ঘাস ও ধানের শীষে বিন্দু বিন্দু কুয়াশা জমতে দেখা যাচ্ছে। দেখতে অনেক ভালো লাগে।
সকালে হাঠতে আশা লোকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, গত কয়েক দিন বৃষ্টির কারণে এ বছর আগাম শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত যত গভীর হয় কুয়াশা তত বাড়ে হালকা বৃষ্টির মতো টিপটিপ কুয়াশা ঝরতে থাকে। বিশেষ করে মাঠে ঘাসের ডগায় ও ধানের শীষে জমতে দেখা গেছে বিন্দু বিন্দু শিশির। উত্তর থেকে আসছে শীতল বাতাস। ভোরের প্রকৃতিতে হাত বাড়লেই ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব। কয়েক দিন থেকে শেষ রাতে গায়ে কাঁথা চাপাচ্ছেন অনেকেই। যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি। গ্রামগুলোতে পুরনো কাঁথা নতুন করে সেলাই করে নিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নারীরা। বাড়ির পাঁশে গাছের নিচে বসে রঙ-বেরঙের সুতো দিয়ে তারা তৈরি করছেন কাঁথা আর সেই সাথে জমে উঠেছে গল্প এবং আড্ডা। বাজারে ব্যবসায়িকরা লেপ তোষক তৈরী শুরু করেছে। প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই রঙ-বেরঙের অতিথি পাখির করতালে বিভিন্ন খাল, বিল ও জলাশয়গুলোতে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে।