চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম মহানগরের সব থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সব কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে নগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। তিনি জানান, চট্টগ্রাম নগর বিএনপিকে শক্তিশালী করতে কমিটি পুনগর্ঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে পুনগর্ঠনের কথা বলেছেন। এরপর সর্বসম্মতভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ এসব কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, নির্বাচন উপযোগী প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা এবং দেশে সার্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিএনপি সর্বদা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশে থাকবে। দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা আনায়ন ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা এবং জনকল্যাণের লক্ষ্যে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের যে কোনো অপতৎপরতা রুখতে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে সর্বদাই সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলেও বিএনপির বিরুদ্ধে এখনও নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় শক্তিশালী সংগঠনের বিকল্প নেই।
নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান কমিটির এক নম্বর সদস্য সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশ ও দলের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদেরকে সর্বদা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভাজন বা অনৈক্য কখনোই দল সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে দলকে এগিয়ে নিতে চলমান ঐক্য যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৫৩ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির ৫১ জন সদস্য প্রথম সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এতদিন দল পুনর্গঠনের কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনমুখী। এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায় থেকে দলকে শক্তিশালী করতে নতুন করে কমিটি সাজানো হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে এক সপ্তাহের মধ্যে নগরীর ১৫টি থানা ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। আন্দোলন-সংগ্রামে দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা ও পরীক্ষিতদের অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। অপরাধে জড়িত কাউকে কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে না।’