কুমিল্লা প্রতিনিধি:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করা সম্পূর্ণ অবৈধ-বেআইনি।কিন্তু এই আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে হাসপাতাল পরিচালনা করে যাচ্ছে বিজরা শাফি হাসপাতাল।
কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার বিজরা বাজারে বিজরা শাফি হাসপাতালের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা: শেখ দাউদ আদনান।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা:শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে কুমিল্লা সিভিল সার্জনকে ,বিজরা শাফি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুলিপি দিয়েছেন মহাপরিচালক,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,মহাখালী,ঢাকা।
কিন্তু কুমিল্লার সিভিল সার্জন অফিস ও লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে হাসপাতাল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বিজরা শাফি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিজরা বাজারের এই হাসপাতালের সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। লাইসেন্স প্রাপ্ত না হয়ে তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাসপাতালে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে তারা হাসপাতালটি পরিচালনা করে যাচ্ছে।
এদিকে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইনকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। তবে কুমিল্লা সিভিল সার্জেন অফিসের হেড ক্লার্ক রফিকুল ইসলাম বলেন,বিজরা শাফি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি চিঠি পেয়েছি। এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি,আগামী সপ্তাহ দেখি কি করা যায়।
এদিকে বিজরা শাফি হাসপাতালের ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, মো:মাসুদ কবির ভূইয়ার কাছে বিজরা শাফি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠানের কাছে চুক্তি সাপেক্ষে ২য় তলা ভাড়া দেই। চুক্তিপত্র মোতাবেক বিজরা শাফি হাসপাতাল এখনো পর্যন্ত তারা গত ৮ বছর আমাকে কোন ভাড়া প্রদান করতে পারেনি। তাই আমি বিগত ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বিজরা শাফি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো:মাসুদ কবির ভূইয়া কাছে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করি। তারা এখন পর্যন্ত আমাকে ভাড়া প্রদান করতে পারছে না। আমি আমার সম্পত্তি রক্ষার জন্য আমি উচ্ছেদের মামলা করেছি। মামলাটি আদালতে চলমান আছে। চুক্তির শর্ত মোতাবেক ভাড়াটিয়া হাসপাতাল পরিচালনার জন্য নিজ ব্যয়ে সরকারী অনুমোদন নিয়া বৈধ ব্যবসা করিবে এমন শর্ত থাকার পরও তারা আইন অমান্য পূর্বক কোনরূপ অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে বিগত দুই বৎসর যাবৎ হাসপাতাল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বিজরা শাফি হাসপাতালটি লাইসেন্স প্রাপ্ত না হওয়ায় সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডাঃমীর মোবারক হোসাইন এবং চলতি বছরের গত ২৯ মে অনিবন্ধিত বেসরকারী হাসপাতাল ক্লিনিক,ল্যাবঃ ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে বিজরা শাফি হাসপাতালকে সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন লাকসাম উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নাজিয়া বিনতে আলম। নজরুল ইসলাম বলেন, এত নির্দেশনার পরও কেন বিজরা শাফি হাসপাতালটি বন্ধ করতে পারছে না কৃর্তপক্ষ তা বোধগম্য নয়।