March 31, 2025, 8:17 am
ব্রেকিং নিউজ
চাঁদ দেখা গেছে,বাংলাদেশে কাল ঈদ ঢাকায় কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় দেখতে চান সারজিস খুলে দেওয়া হলো ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ১৮ কিলোমিটার টেলিটক গ্রাহকদের সুখবর দিলো সরকার বাংলাদেশ কুরআনের উর্বর ভূমি: ধর্ম উপদেষ্টা ছুটির দিনেও রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দুদকের মামলা: সাবেক মন্ত্রী নাসিমের ছেলের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ অ্যাপার্টমেন্ট বাংলাদেশকে সামরিক সহায়তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররমে ৫ জামাত চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা পাসপোর্ট নিয়ে সুখবর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা পুলিশের ৪৩ কর্মকর্তাকে বদলি সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকা করার সুপারিশ আ.লীগের পুনর্বাসন পরিকল্পনা কঠোর হাতে দমন করা হবে: নাহিদ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা আজ আ.লীগের নিবন্ধন বাতিল ও রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি এনসিপির ‘গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে সরকার’

বাংলাদেশ-ভারতে যৌথভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্টারলিংক

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Friday, March 21, 2025
  • 21 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশ-ভারতে যৌথভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্টারলিংক। তবে যাবতীয় ভূ-রাজনৈতিক বা নিরাপত্তাগত হিসেবের বাইরে গিয়ে ভারত বা বাংলাদেশের সাধারণ একজন গ্রাহক হয়তো সবার আগে জানতে চাইবেন, স্টারলিংক পরিষেবা নিতে চাইলে খরচ কত হবে? সেটা কি আদৌ আমার বাজেটের নাগালে হবে?

এক কথায় এর উত্তর দেওয়া কঠিন – কারণ এই বাজারগুলোতে স্টারলিংকের ‘প্রাইস পয়েন্ট’ ঠিক কী হবে সেটা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি, আর তা ছাড়া বিশ্বের এক একটা বাজারে তাদের পরিষেবার খরচও এক এক রকম।

বিশ্বের যে একশোটিরও বেশি দেশে স্টারলিংক এখন চালু আছে, সেখানে তাদের মান্থলি সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানগুলোর খরচ ১০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আফ্রিকায় খরচ অনেক কম, ইউরোপে তুলনায় অনেক বেশি। তবে এটি আনলিমিটেড নয়।

এর সঙ্গে এককালীন খরচ দিয়ে স্টারলিঙ্কের হার্ডওয়্যারও (ডিভাইস) গ্রাহককে কিনতে হয়, যার খরচ ২৫০ ডলার থেকে ৩৮০ ডলারের মতো পড়ে।

সেই জায়গায় তুলনা করলে দেখা যাবে ভারতের টেলিকম কোম্পানিগুলো অনেক সস্তায় ‘হোম ব্রডব্যান্ড’ প্ল্যান অফার করে থাকে, যার খরচ মাসে মাত্র ৫ ডলার (৪৫০ রুপি) বা ৭ ডলার (৬০০ রুপি) থেকে শুরু। হাইস্পিড প্রিমিয়াম প্ল্যানের খরচ অবশ্য চার বা পাঁচ হাজার রুপিও হতে পারে।

তার ওপর স্টারলিংকের ডেটা ব্যবহারে একটা ঊর্ধ্বসীমা আছে, কিন্তু ভারতে রিলায়েন্স জিও বা এয়ারটেলের বেশির ভাগ প্ল্যানই ‘আনলিমিটেড’।

ফলে ভারতের মতো একটি ‘প্রাইস-সেনসিটিভ’ বা দাম-সচেতন বাজারে সফল হতে গেলে স্টারলিঙ্ককে খুবই প্রতিযোগিতামূলক দামে প্ল্যান অফার করতে হবে। তবে এই বাজারে প্রবেশ করাটাই যদি তাদের মূল লক্ষ্য হয়, ব্যবসা বাড়ানো নয় – তাহলে অন্য কথা।

যেমন আফ্রিকার যে ১৬টি দেশে এই মুহূর্তে স্টারলিঙ্ক চালু আছে, তার মধ্যে ৫টিতেই আবার তাদের মান্থলি সাবস্ক্রিপশনের খরচ সে দেশের প্রধান ফিক্সড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের তুলনায় কম। হিমালয়ের কোলে ভুটানে স্টারলিঙ্ক সদ্যই পরিষেবা চালু করেছে – সেখানে আবার রয়েছে তাদের দুটি প্ল্যান।

‘রেসিডেনশিয়াল লাইট’ প্ল্যানের খরচ মাসে ৩০০০ ন্যু (৩০০০ রুপি), কিন্তু তাতে অফুরন্ত ডেটা ব্যবহারের সুযোগ নেই। ‘স্ট্যান্ডার্ড’ প্ল্যান নিলে আবার মাসে ৪২০০ ন্যু (৪২০০ রুপি) দিয়েই গ্রাহক আনলিমিটেড ইউসেজ পাবেন।

সোজা কথায়, দামের ক্ষেত্রে স্টারলিংক এক এক দেশে পরিস্থিতি অনুযায়ী এক এক ধরনের মডেল ব্যবহার করে থাকে।

ভারতে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এদেশে স্টারলিংকের খরচ প্রতিষ্ঠিত টেলিকম জায়ান্টদের তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে, স্টারলিংকের ডেটা স্পিডও কম থাকবে।

অন্যভাবে বললে, এ দেশের দুর্গম ও ‘আন্ডারসার্ভড’ (যেখানে কেবল বা টাওয়ার নেই) এলাকাগুলোতে পৌঁছানোই হবে স্টারলিংকের প্রধান লক্ষ্য – জিও বা এয়ারটেলের ব্রডব্যান্ড সার্ভিসকে তারা সেভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারবে না।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102