অনলাইন ডেস্ক:
অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আপাতত ২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি এক ধরনের সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এবং শস্য এবং খাদ্যসহ আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী।
ডলারের বিনিময় হারে অস্থিরতা এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়াসহ সব মিলিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে আপাতত এ সহায়তা দেবে সংস্থাটি।
রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খানের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত সংস্থাটির নতুন কান্ট্রি ডিরেক্ট আব্দোলায়ে সেক।
সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সচিবের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইআরডি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে ২ শতাংশ সুদসহ এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। আগামী দুই বছরের মধ্যে বাকি ৭৫ কোটি ঋণ দিতে আশস্ত করেছে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বৈঠক সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ নয়টি পণ্য আমদানি করতে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সম্ভাব্য ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ব্যয় হবে। এসব প্রভাব মোকাবিলায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চাওয়া হয়। সেই সূত্র ধরে আলাদা উইন্ড খুলে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে সংস্থাটি। এছাড়া আগে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ। এর আওতায় ২৫ কোটি ডলার দিয়েছিল সংস্থাটি। বাকি ২৫০ মিলিয়নও দেবে শিগগিরই।