অনলাইন ডেস্ক:নতুন নোট ছাপাতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই নোটে জুলাই বিপ্লবের সময় সরকার পতনের দাবি সংবলিত বিভিন্ন গ্রাফিতি ও ধর্মীয় স্থাপনার ছবি সংযুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রচলিত টাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ঈদুল আজহার আগে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতিযুক্ত নোট বাজারে আসতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা জানান, ২০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ডিজাইন পরিবর্তন করছে সরকার। আপাতত এই চার ধরনের নোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকবে না। পর্যায়ক্রমে সব টাকার নোট থেকেই শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে নেওয়া হবে। নতুন নোট ছাপানোর বিষয়ে মূল সুপারিশ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা ও নকশা উপদেষ্টা কমিটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘নতুন নোট ছাপানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সব ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই এগুলো বাজারে আসবে। বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়। তবে আমরা আশা করছি, জনসাধারণ এই পরিবর্তন ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে।’
বাংলাদেশে মুদ্রা ছাপানোর কাজটি করে দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড, যা টাঁকশাল নামে পরিচিত। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা পেলেও ১৯৮৮ সালের জুনে এক টাকা ছাপানোর মধ্য দিয়ে এই প্রেসে নোট ছাপানো শুরু হয়। নোট ছাপানোর আগে তার নকশা অনুমোদন করে সরকার। চিত্রশিল্পীদের দিয়ে নোটের নকশা চূড়ান্ত করা হয়। নকশা চূড়ান্ত হলে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে কাগজ, কালি ও প্লেট তৈরি করা হয়। নকশা অনুযায়ী বিদেশ থেকে প্লেট তৈরি করে আনার পর ছাপার কাজটি করে টাঁকশাল। তবে ধাতব মুদ্রাগুলো বিদেশ থেকে আনা হয়।