রতন মিয়া একজন কৃষক। ৪০ শতাংশের একটি পুকুর বর্গা নিয়ে মাছ চাষ করেছেন। একইসঙ্গে পুকুরের পাড়ে রোপণ করেছেন আগাম জাতের লাউয়ের চারা। লাউগাছের জন্য পুকুরজুড়ে পানির ওপরে বাঁশ ও সুঁতা দিয়ে তৈরি করেছেন মাচা। বর্তমানে মাচায় ঝুলছে শত শত লাউ। এসব লাউ স্থানীয় বাজারে চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
কৃষক রতন মিয়া নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের তারাকান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার লাউ চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এলাকার অন্য কৃষকরাও। তারাও পুকুরে মাচা তৈরি করে লাউ চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
রতন মিয়া বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ২ বছরের জন্য ৪০ শতাংশের (৪ কাঠা) এই পুকুরটি বর্গা নিয়েছি। পুকুরে মাছ চাষ করেছি। পুকুরের চারপাশের পাড়গুলো পতিত ছিল। তাই পুকুরের ওপর বাঁশ ও সুঁতা দিয়ে মাচা তৈরি করে পাড়গুলোতে উন্নত জাতের লাউ বীজ রোপণ করি। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এরই মাঝে অল্প সময়ের মধ্যে লাউয়ে ভরে গেছে মাচা। লাউ বিক্রিও শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, বাজারে এ জাতের লাউয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দামও বেশি। প্রতিটি লাউ ৪০-৫০ টাকা করে বিক্রি করছি। অনেকেই আবার পুকুরে এসে লাউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি।
স্থানীয় কৃষক সিরাজ মিয়া বলেন, স্থানীয় বাজারে রতন মিয়ার লাউয়ের অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া এলাকার লোকজনও পুকুর পাড়ে এসে লাউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির বলেন, দিন দিন মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। আমরা কৃষকদের নিয়মিতভাবে পরামর্শসহ সহযোগিতা দিয়ে আসছি।