অনলাইন ডেস্ক:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ ও প্রচারের অভিযোগে করা ওই মামলায় বাবুল আক্তারকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরাফাতুল রাকিব বাবুল আক্তারের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হেমায়েতউদ্দিন খান বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলায় বাবুল আক্তারকে চার নম্বর আসামি করা হয়। প্রধান আসামি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনকে। অন্য দুই আসামি হলেন বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবুলের বাবা ওয়াদুদ মিয়া।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার মামলা করেন। এ মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআইয়ের প্রধানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাবুল আক্তার মামলা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। তবে সেপ্টেম্বর মাসে সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দেওয়ার পর তখন পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।
পিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাহমুদা হত্যা মামলা নিয়ে বাবুল আক্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইলিয়াস হোসাইন ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে পিবিআই এবং পিবিআইয়ের প্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান ও তার বাবা আবদুল ওয়াদুদের যোগসাজশে ইলিয়াস হোসাইন এ ধরনের তথ্য সরবরাহ ও প্রচার করেন। এ কারণে তাঁদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার প্রথমে বাদী হয়ে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। বাবুল বর্তমানে কারাগারে আছেন।