অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের বোন আলেমা খান বলেছেন, আমাদের পরিবারের কেউ পাকিস্তানের আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না।বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খবর দ্য নিউজের।
আলেমা খান বলেন, তিনি আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। এমনকি তাদের পরিবারের কেউ অংশ নেবে না।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে লড়ব না, এমনকি আমার ভাই ইমরান খান বললেও আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেব না।
অন্য কোনো বোন বা ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলেমা বলেন, ‘আমরা কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। আমরা শুধু পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার মামলার জন্যই এসেছি।
তিনি বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে ভুট্টোর মতো আচরণ করা যায় না। তখন তোমার মতো তরুণ প্রজন্ম ছিল না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ এখন তার দুজন আম্পায়ার স্থাপন করেছেন এবং খেলোয়াড়দের আর মাঠে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।
এর প্রমাণ এখন স্পষ্ট মানুষ— যখন মনোনয়নপত্র জমা দিতে যায়, তখন তারা তাদের কাগজপত্র থেকে বঞ্চিত হয়। তিনি দাবি করেছেন, সাইফার মামলাটি একটি রসিকতা মাত্র, যত দ্রুত বিচার চলছিল, আশঙ্কা হচ্ছিল- ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হতে পারে।
ইমারান খানের বোন বলেন, যা হচ্ছে তা সবার সামনে। সুপ্রিমকোর্ট নিয়ে আমরা আর হতাশ নই। সুপ্রিমকোর্টের কাছে কিছু আশা না করলে কার কাছে আশা করবেন? সেখান থেকে যদি আমরা ন্যায়বিচার না পাই, তা হলে আমরা অবশ্যই আল্লাহর কাছ থেকে তা পাব।