অনলাইন ডেস্ক:
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯ রানের জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে আরেকটি আক্ষেপ ফুরোল লাল-সবুজের দলের। সেই ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ৬টি আসর হয়ে গেলেও মূল পর্বে আর একটি জয়ও ধরা দেয়নি। এবার সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে।
বাংলাদেশের দেয়া ১৪৫ রানের তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে নেদারল্যান্ডস। তাসকিনের লেন্থের বল ব্যাটের কোণায় লাগিয়ে একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিক্রমজিৎ সিং এবং বাস ডি লিড। এরপর মাঝে দুই রান আউটে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ডাচরা।
কিন্তু আশার আলো দেখাচ্ছিলেন নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক এডওয়ার্ডস এবং অ্যাকারম্যান। তারা দুইজন মিলে ৪৪ রানের একটি জুটি গড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে দলে টানতে থাকেন অ্যাকারম্যান। তবে শেষ পর্যন্ত তার ৬২ রানও দলকে জেতাতে পারেনি।
নেদারল্যান্ডসের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দুর্দান্ত বোলিং করেছে বাংলাদেশের পেসাররা। ২৫ রানে তাসকিনের চার উইকেটের পাশাপাশি হাসান মাহমুদও পেয়েছেন ১৫ রান খরচায় দুই উইকেট।
এদিকে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোভাবে করলেও পাওয়ার প্লের পর এলোমেলো ব্যাটিং করতে থাকে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৩ রান। এরপর বড় শট খেলতে গিয়ে একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব, লিটন, ইয়াসির আলিরা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে সৌম্য আউট হওয়ার পর তার সঙ্গী শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২০ বলে ২৫ রান করে প্রিঙ্গলের বলে আউট হন তিনি। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সেরা ফর্মে থাকা লিটনও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১১ বলে ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। যেখানে সাকিবকে নিয়ে আশা ছিল সবার, সেই সাকিবও ৭ রান করে শারিজের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন। এদিন ব্যর্থ ছিলেন ইয়াসির আলি, সোহানরাও। বৃষ্টির কারণে মাঝে ম্যাচ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। ম্যাচের আগেই জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশের ম্যাচের বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
এরপর আফিফ শো। ক্লাসেন-লিডসদের পিটিয়ে ২৭ বলে ৩৮ রান করেন আফিফ। মাঝে একবার জীবনও পেয়েছিলেন তিনি। শেষের দিকে মোসাদ্দেক অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে ২০ রান করে। নেদারল্যান্ডসের হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন পল ভ্যান মিকারেন এবং বাস ডি লিড।