স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক, ছাত্রনেতা ও প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।বুধবার (২৯ মার্চ) ভোররাত ৪টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ কুমিল্লার সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ কুমিল্লার মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারিয়েছেন।
নূরে আলম সিদ্দিকীর প্রেস সচিব কবি ও বাচিক শিল্পী অনিকেত রাজেশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সকাল ১০টায় সাবেক এই ছাত্রনেতার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে নেওয়ার কথা। সেখানে জানাজার পর বাদ আছর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা হবে। এ সময় নূরে আলম সিদ্দিকীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে। এরপর সাভারে নিজের করা মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
সত্তরের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের ‘চার খলিফা’র একজন হিসেবে তাকে উল্লেখ করা হয়। মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি।
নূরে আলম সিদ্দিকী ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী।