July 9, 2025, 7:03 pm
ব্রেকিং নিউজ
শুধু হাসিনার নয়, আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ কারাগারে নকশিকাঁথা শিখে স্বাবলম্বী নারী কয়েদিরা এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা কাকরাইলে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের উপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শিবির নয়, লাল ব্যাজ ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছাত্রদলের নাছির ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার-বিচারের সুরাহা হতে হবে: নাহিদ গত ১৫ বছরে কেমন সাংবাদিকতা হয়েছে, পুনর্মূল্যায়নে জাতিসংঘের সাহায্য চেয়েছে সরকার:প্রেস সচিব বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা আরও বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’, সাধারণ ছুটি ঘোষণা সেই সাবেক সহকারী কমিশনার ঊর্মি চাকরিচ্যুত ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার মুজিববাদী সংবিধান ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: আখতার হোসেন গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস বিলে কর কমল এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘শাটডাউনসহ’ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে পাওয়া গেল গুলির ম্যাগজিন ইমাম-খতিবদের সুখবর দিলেন ধর্ম উপদেষ্টা

নিউইয়র্ক গভর্নর পদে লড়তে পারেন এলিস স্টেফানিক

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Saturday, April 26, 2025
  • 35 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর পদে ২০২৬ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিক। সারাটোগা থেকে নির্বাচিত এই নেত্রী যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে শক্ত অবস্থান গড়ে তুললেও এখন রাজ্য রাজনীতিতে বড় পরিসরে নিজেকে তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নিউইয়র্ক সাধারণভাবে একটি ‘ডিপ ব্লু’ রাজ্য, অর্থাৎ ডেমোক্রেটদের শক্ত ঘাঁটি। আর স্টেফানিক হলেন ‘ম্যাগা রিপাবলিকান’। তাই এই রাজ্যে গভর্নর নির্বাচনে তার বিজয়ের সম্ভাবনা আপাতদৃষ্টিতে ক্ষীণ মনে হলেও বর্তমান গভর্নর ক্যাথি হোকুলের অজনপ্রিয়তায় রিপাবলিকানরা আশার আলো দেখছে।
সম্প্রতি মারিস্ট ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৬০ শতাংশ নিউইয়র্কার চান না গভর্নর হোকুল পুনরায় নির্বাচন করুন। মাত্র ৯ শতাংশ ভোটার মনে করেন তিনি ‘চমৎকার’ কাজ করছেন। রাজ্যজুড়ে তার সম্মিলিত অনুমোদনের হার মাত্র ৩৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ৪০ বছর বয়সী স্টেফানিক রাজ্যের সবচেয়ে পরিচিত রিপাবলিকান নেতা। তার নির্বাচনী ফান্ডে ইতিমধ্যে রয়েছে ১ কোটি ডলার এবং প্রচারণার জন্য রাজ্য পাবলিক ফান্ডিং ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রথম মাসেই তা ৩ কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তা ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো তিনি আপস্টেট নিউইয়র্কের কর্মজীবী শ্রেণির ভোটারদের মধ্যে প্রভাব রাখতে পারেন, যারা সাধারণত নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পক্ষে সক্রিয় থাকেন না।
স্টেফানিক ও হোকুল কেউই ডাউন স্টেট, বিশেষ করে নিউইয়র্ক সিটি ও লং আইল্যান্ড থেকে আসেন না। গত নির্বাচনে লং আইল্যান্ডের লি জেলডিনের বিপুল ভোটের ব্যবধানই হোকুলের জন্য ছিল বড় হুমকি। স্টেফানিক সেই জায়গায় কতটা সফল হবেন, তা এখনো প্রশ্নসাপেক্ষ।
তবে তার সমর্থকেরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইহুদিবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার ভূমিকা নিউইয়র্কের ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে এক ‘কাজের মানুষ’ ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছে।
অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক শিবির থেকে অ্যান্ড্রু ক্যুমোর নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হওয়ার সম্ভাবনাও আলোচনায় রয়েছে। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে স্টেফানিকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই ডেমোক্রেটদের সবচেয়ে বড় প্রচারণার অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। হোকুল ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ‘একজন চরম ম্যাগা রিপাবলিকান’-এর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো ভোটারদের কাছে হোকুলের জনপ্রিয়তা খুব একটা বেশি নয়। জরিপ অনুযায়ী, ট্রাম্পের মতো হোকুলও বহু ভোটারের কাছে অজনপ্রিয়।
তিনি বলেন, ‘রাজ্য থেকে জনস্রোত বেরিয়ে যাচ্ছে, জীবনযাত্রার খরচ বেড়েই চলেছে, মানুষ বাঁচার পথ খুঁজছে।’ মারিস্ট জরিপেও উঠে এসেছে, নিউইয়র্কারদের ৩২ শতাংশ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অন্য রাজ্যে চলে যেতে চান, প্রধান কারণ উচ্চ খরচ ও জীবনের মানের অবনতি। এই বাস্তবতায় অনেকেই ভাবছেন, স্টেফানিক সত্যিই যদি নিউইয়র্কে লড়েন, তাহলে তার পক্ষে হয়তো জয়লাভ করাও সম্ভব।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102