আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ কথা জানায়।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর সহিংসতা ও তাদের প্রতি অসহিষ্ণুতার যেকোনো ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাই।’
আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে যে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার জবাব ইমেইলের মাধ্যমে দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের যেসব ঘটনা ঘটছে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে করা প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতাকে মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ সব অংশীদারের কাছে এই সমর্থনের কথা জানায়।’
বাংলাদেশে ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না পাওয়া প্রসঙ্গে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ও সংবিধানে (নাগরিকদের) যে অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে তার আলোকে এ ইস্যুগুলো সমাধান করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা তৈরি হওয়ার আলোকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে- প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্য দিই। তাদের একে অপরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের ওপরই ছেড়ে দিয়েছি।’