অনলাইন ডেস্ক :
বাস্তবায়িত হচ্ছে শেরপুর-ময়মনসিংহ বিকল্প মহাসড়ক। এই সড়কে বদলে যাবে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে দুই জেলার মধ্যে দূরত্ব কমে যাবে ২০ কি.মি.।
শেরপুর সদর থেকে ভীমগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহ মহানগরের রহমতপুরের সঙ্গে মিলিত হবে নতুন মহাসড়ক। এই বিকল্প সড়কে শেরপুরÑময়মনসিংহের দুরত্ব হবে ৪৯ কি.মি.। বর্তমানে শেরপুরÑময়মনসিংহ যোগাযোগের প্রধান সড়ক হলো শেরপুর-নকলাÑফুলপুর-ময়মনসিংহ। এই সড়কে দুই জেলার দূরত্ব ৬৯ কি.মি.। নতুন সড়ক হয়ে গেলে শেরপুরÑময়মনসিংহ দূরত্ব ২০ কি.মি. কমে যাবে। একমাত্র সড়ক যোগাযোগ সর্বস্ব^ জেলা শেরপুরের সঙ্গে ময়মনসিংহের এই সড়কে বদলে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
ময়মনসিংহের সঙ্গে যোগাযোগের কাঙ্খিত এই সড়কটি কানাশাখোলাস্থ পূর্বের মহাসড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শেরপুরের গ্রামীণ জনপথ দিয়ে ময়মসিংহের ব্রহ্মপুত্র পাড় রহমতপুরে পৌঁঁছবে। এই ব্রহ্মপুত্রই সেতু নির্মাণে বড় বাঁধা ছিল। আর ৩৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহের পরানগঞ্জÑরহমতপুরের ব্রহ্মপুত্র নদ ও রেল লাইনের উপর দিয়ে নির্মাণ হচ্ছে ১ হাজার ৪৭১ মিটারের একটি বিশাল দৃষ্টিনন্দন সেতু। মধ্যে কাজ শেষ করতে সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগ দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।
এই প্রকল্পটি ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের শেরপুর ও ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ। কাজ সম্পন্ন শেষ হবে ২০২৬ সালের মধ্যে। রাস্তার দৈর্ঘ্য হবে ৪৪ দশমিক ৯০৬ কি.মি. প্রস্থ ৩৩ দশমিক ৭৮ ফুট। করতে হবে বড় অন্তত আটটি ব্রিজ ও শতাধিক ছোট মাঝারি কালভার্ট। এই মহাসড়ককে ঘিরে শেরপুর জেলাসহ এই অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগসহ জীবন ব্যবস্থায় গতি আসবে।
শেরপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাকিরুল ইসলাম বলেন, সরকারের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শেরপুর-ঢাকা ও উত্তর বঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। সরকারের স্থানীয় সড়ক বিভাগ এই মেগাপ্রকল্প সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করতে বদ্ধ পরিকর। সরকারের এই মেগাপ্রকল্পকে বাস্তাবায়ন করেতে শেরপুর সড়ক বিভাগ সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে এবং কাজের শতকরা ৩৫ ভাগ শেষ হয়েছে।