December 21, 2024, 3:55 pm
ব্রেকিং নিউজ
১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন শনিবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন না খালেদা জিয়া যথাসময়েই হবে ইজতেমা, ছাড় পাবে না সহিংসতাকারীরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে: তারেক রহমান জুবায়েরপন্থিদের উস্কানিতে সংঘর্ষ, দাবি সাদ গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো যাবে না পুলিশ ভেরিফিকেশন কোথাও থাকবে না: কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরল ইভিএমে নয়, জাতীয় নির্বাচন হবে ব্যালটে: সিইসি স্কুলে ভর্তির লটারি আগামীকাল, ফলাফল দেখবেন যেভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন আন্দালিব রহমান পার্থ স্বাধীনতা বিক্রি করা আ.লীগ এখন ভারতে পালিয়েছে: জামায়াত আমির ২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা গ্যাস সংকট কেটে গেলে সারের ঘাটতি থাকবে না: শিল্প উপদেষ্টা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক কুমিল্লা বুড়িচং থানা শ্রীপুর গ্রামের কৃতিসন্তান মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৮৫ তম বাফা কোর্স ২০২৪, ফ্লাইং অফিসার পদে কমিশন লাভ

”দক্ষ শ্রমিক অভিবাসনে সুশিক্ষার বিকল্প নাই”

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Wednesday, December 18, 2024
  • 54 দেখা হয়েছে

জয়নাল আবেদীন জয়
চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ মাইগ্রেন্টস ফাউন্ডেশন (BMF)

গত ৪৮ বছরে প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। ২০২৩-২৪
অর্থবছরে বিদেশে পাঠানো কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩
অর্থবছর পর্যন্ত বোয়েসেলের মাধ্যমে স্বল্প/বিনা খরচে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৭ জন কর্মী বিদেশে
গেছেন। অনেক বছর ধরেই অদক্ষ শ্রম রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের পরিচিত থাকলেও বর্তমানে দেশের
জনশক্তি দক্ষ এবং বহুমুখী হয়ে ওঠার চিত্র, ইতিবাচক অগ্রগতির বার্তা দিচ্ছে। তাই দক্ষ শ্রমিক
অভিবাসনে সুশিক্ষার বিকল্প নাই। বাংলাদেশের শ্রমবাজারে ভবিষ্যতের জন্য এই পরিবর্তনের গুরুত্ব
অনেক। শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানোয় এবং সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। বিপুল
সংখ্যক বাংলাদেশী কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করে সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায়। নিজেদের
ও পরিবারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি এসকল কর্মী ভাই-বোনেরা দেশের জন্য বেশী বৈদেশিক
মুদ্রা উপার্জন করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে সমৃদ্ধ করে আসছে বছরের পর বছর ধরে। দক্ষ এবং
শিক্ষিত কর্মীর চাহিদা প্রায় সর্বত্রই বেশী থাকে এবং তাদের শ্রম মূল্যও থাকে উচ্চ মানের ও
কাঙ্খিত। সুশিক্ষিত কর্মীরা যেমন পারেন সহজে নিজের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নিতে; অন্যদিকে তারা
বিদেশের যে কোন পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন সহজে। এর ফলে “শ্রমিক অভিবাসন” –বিষয়টি
হয়ে উঠে নিরাপদ ও সুনিশ্চিত।
বর্তমানে বাংলাদেশের সার্বিক শিক্ষার হার ৭৪.৭%, যেখানে পুরুষদের শিক্ষার হার ৭৬.৬% এবং নারীর
শিক্ষার হার ৭২.৮%। কিন্তু শুধু লিখতে বা পড়তে পারলেই তাদেরকে সুশিক্ষিত বলা চলে না। শিক্ষিত
হার কাগজে-কলমে স্বাক্ষরতা জ্ঞানকেই ধরা হয়, আর তাই সে হিসেবে বাংলাদেশে মূলত: স্বল্প
শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যাই বেশী। অন্যদিকে এসকল স্বল্প শিক্ষিত জনসাধারণের বসবাস
গ্রামাঞ্চলে। এসকল জনগোষ্ঠীর এক বিশাল অংশ নিজেদের ও পরিবারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা আনার
জন্য অভিবাসন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে। তাই বাংলাদেশের শ্রমিক অভিবাসনের
প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীই অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ, যারা যে কাজের জন্য বিদেশে গমন করছে- সে কাজে
তাদের জ্ঞান বা দক্ষতা থাকে সীমিত। স্বল্পশিক্ষাই এর মূল কারণ বলে পরিগণিত হয়। গ্রামাঞ্চলের
কুসংস্কার, অশিক্ষার কারণে- এখনো এ সকল জনগোষ্ঠিই তাই শিকার হন অভিবানের আড়ালে মানব
পাচারের বা অনিরাপদ অভিবাসনের।

স্বল্প শিক্ষার কারণে এ সকল জনগোষ্ঠী জানেন না শ্রমিক অভিবাসন সংক্রান্ত সরকারের নীতিমালা,
আইন ও নিয়মকানুন। অনেকে জানেন না BMET (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) কি?
BMET–এর ক্লিয়ারেন্স (ছাড়পত্র) কিভাবে নিতে হয় তার জ্ঞানও থাকে তাদের সীমিত। এরা
সঠিকভাবে সরকার অনুমোদিত জনশক্তি রপ্তানীকারক (Recruiting Agency) প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত
করতে পারে না; এবং জানেন না সরকার নির্ধারিত অভিবাসের ব্যয়ের পরিমান। তাই সহজেই এসকল
স্বল্প বা অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী খপ্পরে পড়েন অসাধু দালালদের হাতে। অনেক সময় সরকারী প্রক্রিয়ার
বিদেশ গ্রমন ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক –এর সহায়তায় বিদেশে শ্রমিক হিসেবে যে অভিগমন করা যায়
তাও এসকল জনগোষ্ঠীর কাছে থাকে অজানা।
শুধু শিক্ষিত হলেই হবে না, শ্রমিকদের সুশিক্ষায় নিজেদের ও পরিবারকে শিক্ষিত করতে হবে।
ভাষাজ্ঞান সমৃদ্ধ হওয়া; উর্পাজনকৃত বৈদেশিক মুদ্রার সঠিক ব্যবহার করা; ইত্যাদি সকল বিষয়েই
কেবলমাত্র কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে সুশিক্ষিত কর্মী বা শ্রমিক। সুশিক্ষিত অভিবাসী
কর্মীই পারে তার কারিগরি দক্ষতাকে শানিত করতে এবং প্রবাসে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কৌশলে
নিজস্ব দক্ষতা অর্জন করে তার প্রবাস জীবনকে নিরাপদ করতে। বিদেশে উর্পাজিত জ্ঞান, কৌশল ও
অভিজ্ঞতাকেও তারা দেশের কল্যাণে ব্যবহার করতে পারে। এর পাশাপাশি সুশিক্ষিত অভিবাসী কর্মী
সহজেই তার অভিবাসনকৃত দেশের ভাষাও শিখতে পারেন দ্রুত- যা তার নিশ্চিত ও নিরাপদ জীবনের জন্য
সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
বর্তমান সরকারের দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক তথ্য কেন্দ্র ও
কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় প্রশংসনীয় পদক্ষেপ থাকার পরও বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী
শিকার হন প্রতারণায়। এই প্রতারণাকে মোকাবেলা করতে তাই প্রয়োজন সুশিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষা।
আর নয় অনিশ্চয়তা, অন্ধকার আলোকিত প্রবাস জীবন হোক আমাদের অঙ্গীকার। তাই আসুন-
“আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৪”ও ”জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪” উপলক্ষে আমাদের সকলের
দাবী হোক- “দক্ষ শ্রমিক অভিবাসনে সুশিক্ষার বিকল্প নাই”।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102