July 9, 2025, 4:07 pm
ব্রেকিং নিউজ
শুধু হাসিনার নয়, আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ কারাগারে নকশিকাঁথা শিখে স্বাবলম্বী নারী কয়েদিরা এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা কাকরাইলে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের উপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শিবির নয়, লাল ব্যাজ ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছাত্রদলের নাছির ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার-বিচারের সুরাহা হতে হবে: নাহিদ গত ১৫ বছরে কেমন সাংবাদিকতা হয়েছে, পুনর্মূল্যায়নে জাতিসংঘের সাহায্য চেয়েছে সরকার:প্রেস সচিব বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা আরও বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’, সাধারণ ছুটি ঘোষণা সেই সাবেক সহকারী কমিশনার ঊর্মি চাকরিচ্যুত ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার মুজিববাদী সংবিধান ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: আখতার হোসেন গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস বিলে কর কমল এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘শাটডাউনসহ’ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে পাওয়া গেল গুলির ম্যাগজিন ইমাম-খতিবদের সুখবর দিলেন ধর্ম উপদেষ্টা

”দক্ষ শ্রমিক অভিবাসনে সুশিক্ষার বিকল্প নাই”

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Wednesday, December 18, 2024
  • 157 দেখা হয়েছে

জয়নাল আবেদীন জয়
চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ মাইগ্রেন্টস ফাউন্ডেশন (BMF)

গত ৪৮ বছরে প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। ২০২৩-২৪
অর্থবছরে বিদেশে পাঠানো কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩
অর্থবছর পর্যন্ত বোয়েসেলের মাধ্যমে স্বল্প/বিনা খরচে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৭ জন কর্মী বিদেশে
গেছেন। অনেক বছর ধরেই অদক্ষ শ্রম রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের পরিচিত থাকলেও বর্তমানে দেশের
জনশক্তি দক্ষ এবং বহুমুখী হয়ে ওঠার চিত্র, ইতিবাচক অগ্রগতির বার্তা দিচ্ছে। তাই দক্ষ শ্রমিক
অভিবাসনে সুশিক্ষার বিকল্প নাই। বাংলাদেশের শ্রমবাজারে ভবিষ্যতের জন্য এই পরিবর্তনের গুরুত্ব
অনেক। শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানোয় এবং সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। বিপুল
সংখ্যক বাংলাদেশী কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করে সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায়। নিজেদের
ও পরিবারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি এসকল কর্মী ভাই-বোনেরা দেশের জন্য বেশী বৈদেশিক
মুদ্রা উপার্জন করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে সমৃদ্ধ করে আসছে বছরের পর বছর ধরে। দক্ষ এবং
শিক্ষিত কর্মীর চাহিদা প্রায় সর্বত্রই বেশী থাকে এবং তাদের শ্রম মূল্যও থাকে উচ্চ মানের ও
কাঙ্খিত। সুশিক্ষিত কর্মীরা যেমন পারেন সহজে নিজের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নিতে; অন্যদিকে তারা
বিদেশের যে কোন পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন সহজে। এর ফলে “শ্রমিক অভিবাসন” –বিষয়টি
হয়ে উঠে নিরাপদ ও সুনিশ্চিত।
বর্তমানে বাংলাদেশের সার্বিক শিক্ষার হার ৭৪.৭%, যেখানে পুরুষদের শিক্ষার হার ৭৬.৬% এবং নারীর
শিক্ষার হার ৭২.৮%। কিন্তু শুধু লিখতে বা পড়তে পারলেই তাদেরকে সুশিক্ষিত বলা চলে না। শিক্ষিত
হার কাগজে-কলমে স্বাক্ষরতা জ্ঞানকেই ধরা হয়, আর তাই সে হিসেবে বাংলাদেশে মূলত: স্বল্প
শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যাই বেশী। অন্যদিকে এসকল স্বল্প শিক্ষিত জনসাধারণের বসবাস
গ্রামাঞ্চলে। এসকল জনগোষ্ঠীর এক বিশাল অংশ নিজেদের ও পরিবারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা আনার
জন্য অভিবাসন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে। তাই বাংলাদেশের শ্রমিক অভিবাসনের
প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীই অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ, যারা যে কাজের জন্য বিদেশে গমন করছে- সে কাজে
তাদের জ্ঞান বা দক্ষতা থাকে সীমিত। স্বল্পশিক্ষাই এর মূল কারণ বলে পরিগণিত হয়। গ্রামাঞ্চলের
কুসংস্কার, অশিক্ষার কারণে- এখনো এ সকল জনগোষ্ঠিই তাই শিকার হন অভিবানের আড়ালে মানব
পাচারের বা অনিরাপদ অভিবাসনের।

স্বল্প শিক্ষার কারণে এ সকল জনগোষ্ঠী জানেন না শ্রমিক অভিবাসন সংক্রান্ত সরকারের নীতিমালা,
আইন ও নিয়মকানুন। অনেকে জানেন না BMET (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) কি?
BMET–এর ক্লিয়ারেন্স (ছাড়পত্র) কিভাবে নিতে হয় তার জ্ঞানও থাকে তাদের সীমিত। এরা
সঠিকভাবে সরকার অনুমোদিত জনশক্তি রপ্তানীকারক (Recruiting Agency) প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত
করতে পারে না; এবং জানেন না সরকার নির্ধারিত অভিবাসের ব্যয়ের পরিমান। তাই সহজেই এসকল
স্বল্প বা অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী খপ্পরে পড়েন অসাধু দালালদের হাতে। অনেক সময় সরকারী প্রক্রিয়ার
বিদেশ গ্রমন ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক –এর সহায়তায় বিদেশে শ্রমিক হিসেবে যে অভিগমন করা যায়
তাও এসকল জনগোষ্ঠীর কাছে থাকে অজানা।
শুধু শিক্ষিত হলেই হবে না, শ্রমিকদের সুশিক্ষায় নিজেদের ও পরিবারকে শিক্ষিত করতে হবে।
ভাষাজ্ঞান সমৃদ্ধ হওয়া; উর্পাজনকৃত বৈদেশিক মুদ্রার সঠিক ব্যবহার করা; ইত্যাদি সকল বিষয়েই
কেবলমাত্র কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে সুশিক্ষিত কর্মী বা শ্রমিক। সুশিক্ষিত অভিবাসী
কর্মীই পারে তার কারিগরি দক্ষতাকে শানিত করতে এবং প্রবাসে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কৌশলে
নিজস্ব দক্ষতা অর্জন করে তার প্রবাস জীবনকে নিরাপদ করতে। বিদেশে উর্পাজিত জ্ঞান, কৌশল ও
অভিজ্ঞতাকেও তারা দেশের কল্যাণে ব্যবহার করতে পারে। এর পাশাপাশি সুশিক্ষিত অভিবাসী কর্মী
সহজেই তার অভিবাসনকৃত দেশের ভাষাও শিখতে পারেন দ্রুত- যা তার নিশ্চিত ও নিরাপদ জীবনের জন্য
সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
বর্তমান সরকারের দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক তথ্য কেন্দ্র ও
কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় প্রশংসনীয় পদক্ষেপ থাকার পরও বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী
শিকার হন প্রতারণায়। এই প্রতারণাকে মোকাবেলা করতে তাই প্রয়োজন সুশিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষা।
আর নয় অনিশ্চয়তা, অন্ধকার আলোকিত প্রবাস জীবন হোক আমাদের অঙ্গীকার। তাই আসুন-
“আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৪”ও ”জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪” উপলক্ষে আমাদের সকলের
দাবী হোক- “দক্ষ শ্রমিক অভিবাসনে সুশিক্ষার বিকল্প নাই”।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102