বিনোদন ডেস্ক:
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম এখন সিনেমা থেকে পুরোপুরি দূরে আছেন। এক সময় ছিলেন সিনেমা জগতে মার্শাল আর্টের প্রবর্তক। এখন তিনি পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। এরপরও সিনেমার প্রতি রয়েছে তার গভীর ভালোবাসা। সেই ভালোবাসার টানে তিনি আবার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরতে চলেছেন। আবার সিনেমা নির্মাণ করবেন তিনি।
শৈশব থেকেই মার্শাল আর্ট শিখেছেন জাহাঙ্গীর আলম। আশির দশকের শুরুতে ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত হন সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। ঢাকাই সিনেমায় প্রবর্তন করেন নতুনধারা। নামের আগে যুক্ত হয় ‘ওস্তাদ’ টাইটেল। সোহেল রানা, রুবেলসহ বহু নায়ককেই তিনি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। একসময় নিজেও যুক্ত হন অভিনয়ে। শুরুটা হয় খলচরিত্র দিয়ে। পরে ভক্তদের অনুরোধে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ক্যারাতে মাস্টার, লড়াকু, মাস্টার সামুরাই, পেশাদার খুনি, কুংফু কন্যা, কুংফু নায়ক, ওস্তাদ সাগরেদ, প্রেমিক রংবাজ— এসব ছবি করে তুমুল জনপ্রিয়তাও পান তিনি।
২০০০ সালে পরবর্তী সময়ে চলচ্চিত্রে যখন অশ্লীলতা গ্রাস করে, তখন তিনি ধীরে ধীরে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে সরে আসেন। তবে নতুন করে চলচ্চিত্রে ফিরে আসার ইচ্ছা আছে তার।
এদিকে পর্যটননগরী কক্সবাজারে রিসোর্ট ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। কলাতলী থেকে মেরিন ড্রাইভের রাস্তায় পাহাড়ের পাদদেশে ‘ওস্তাদ জাহাঙ্গীর’ নামে এ রিসোর্ট গড়ে তুলেছেন তিনি। স্ত্রী একসময়ের মিস বাংলাদেশ ও চলচ্চিত্র নায়িকা রাকাকে নিয়ে রিসোর্টটি নিজেই দেখাশোনা করছেন এ অভিনেতা। সঙ্গে আছেন তার ছোট ভাই চলচ্চিত্র পরিচালক এমএ রহিম।
পারিবারিকভাবে কক্সবাজারের বাসিন্দা ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম। চলচ্চিত্রে যুক্ত হওয়ায় জীবনের সোনালি সময়টা কাটাতে হয়েছে ঢাকায়। তবে তখন থেকেই পরিকল্পনা ছিল কক্সবাজারে কিছু একটা করার। সেই ইচ্ছে থেকেই রিসোর্ট ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন তিনি।
প্রায় আট বছর আগে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজার কলাতলীতে গড়ে তুলেছিলেন একটি রিসোর্ট। সেটিকেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় নান্দনিক সাজে সাজিয়ে ‘ওস্তাদ জাহাঙ্গীর রিসোর্ট’ নতুনভাবে শুরু করেছেন। এ রিসোর্টটি নতুন করে গড়ে তোলার পেছনেও আছে চলচ্চিত্রের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা।
ওস্তাদ জাহাঙ্গীর বলেন, চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য অনেকেই তো কক্সবাজার আসেন। জানেনই তো এখানে দুর্দান্ত সব লোকেশন রয়েছে। আমি চাই— সাধারণ মানুষ ছাড়াও কক্সবাজারে চলচ্চিত্রের কাজে যারা আসেন, তারা যেন এখানে উঠেন। শুটিংয়ের জন্যও নির্মাতারা যেন এ রিসোর্ট ব্যবহার করতে পারে, এটাকে সেভাবেই আমি গড়ে তুলেছি। এটাকে আমি কক্সবাজারে এফডিসির দ্বিতীয় শাখা বানাতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমি নিজেও চলচ্চিত্রে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরই মধ্যে এখানে একটি প্যানেল বসিয়েছি। আমার নতুন ছবির নাম ‘ডিজিটাল প্রেম’। ছবির গল্পে মার্শাল আর্টকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজেই প্রযোজনা, পরিচালনা এবং অভিনয় করব। ডিসেম্বরের মধ্যে আশা করছি বাকি শিল্পীদের চূড়ান্ত করব। শিগগিরই ছবিটির শুটিং শুরু করব। ছবির শুটিং হবে আমার এই রিসোর্টেই। মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য তার এ রিসোর্টে বছরজুড়েই দেওয়া হবে ৫০ শতাংশ ছাড় বলে জানান ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম।