আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন ‘নিরাপত্তা গ্যারান্টি ছাড়া’ কোনো শান্তি চুক্তি গ্রহণ করবে না।
এর আগে ‘অনেক জীবন অকারণে নষ্ট হচ্ছে’ উল্লেখ করে ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন, তার প্রশাসন সম্ভবত ইউক্রেনের জন্য সহায়তা কমিয়ে দেবে।
সেই সঙ্গে দ্রুত এই সংঘাতের সমাধান করতে সক্ষম বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প। যদিও তার কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি তিনি। ট্রাম্পের কথায়, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে অবিলম্বে আলোচনা শুরু হওয়া উচিত।
জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া
এর প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বলেছেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত, তবে এটি একটি টেকসই এবং নির্ভরযোগ্য শান্তির মাধ্যমেই সম্ভব’।
‘শুধু একটি কাগজের টুকরো এবং কয়েকটি স্বাক্ষরে’ এই যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব নয় বলেও জোর দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
জেলেনস্কি আরও উল্লেখ করেন, যুদ্ধের প্রায় তিন বছরে ইউক্রেন ব্যাপক ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছে। ৪৩,০০০ সৈন্য নিহত এবং ৩৭০,০০০ আহত হয়েছে।
পরিশেষে ‘দখলদারিত্বকে উপেক্ষা করবেন না’ বলে তিনি পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া
এদিকে ক্রেমলিন ইউক্রেনকে ‘আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি’ জানানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং বলেছে যে, ‘চারটি অঞ্চল ছেড়ে দেওয়া’ সম্বলিত তাদের পূর্বের যে শর্তাবলী ছিল, তা অপরিবর্তিত রয়েছে।
পরিস্থিতি বিশ্লেষণ
গত তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ ইউক্রেনকে ব্যাপকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। জেলেনস্কি প্রথমে কোনো ধরনের অঞ্চল ছেড়ে দিতে রাজি না থাকলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তার অবস্থান নমনীয় হয়েছে। তিনি অস্থায়ীভাবে রুশ-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে- যদি ন্যাটো তাদের দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা এবং অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয় তবেই।
তবে চলমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি এবং এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবেই রয়ে গেছে। সূত্র: রয়টার্স