আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন ইলন মাস্ক। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিইও পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত কিনা, এমন একটি জরিপ তার বিপক্ষে যাওয়ার পর এ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি। খবর দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসির।
এক টুইটবার্তায় ইলন মাস্ক লিখেছেন, ‘টুইটারের নির্বাহী পদের জন্য যথেষ্ট নির্বোধ কাউকে খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদ ছেড়ে দেব আমি।’
নিজ টুইটার অ্যাকাউন্টে সোমবার করা সেই জরিপে মাস্কের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে এক কোটির বেশি। মাস্কের পদত্যাগের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫৭.৫ শতাংশ টুইটার ব্যবহারকারী। ইলন মাস্কের করা ওই জরিপে মোট ভোট দিয়েছেন এক কোটি ৭৫ লাখ মানুষ। এতে তার পক্ষে ছিল ৪২.৫ শতাংশ ভোটার।
ইলন মাস্কের করা জরিপ তার বিরুদ্ধে যাওয়ার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা কোনো টুইট করেননি তিনি। তার এ নীরবতা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছিল জনমনে।
জরিপ চলাকালে এক কমেন্টে ইলন মাস্ক জানিয়েছেন— এখন থেকে কোম্পানির নীতি পরিবর্তনবিষয়ক সিদ্ধান্ত প্রণয়নের ক্ষেত্রে গণহারে জরিপ না করে নীল টিক চিহ্ন যুক্ত টুইটার ব্যবহারকারীদের মতামত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক টুইটারের সিইও হয়েছেন দুই মাসও হয়নি। এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি কেনার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও স্পেস-এক্সের সিইও। টুইটার কেনার পর বিশ্বের সবচেয়ে ধনীর তালিকা থেকেও বাদ পড়েন তিনি।
গত অক্টোবরে টুইটার কেনেন ইলন মাস্ক। এর পর এর সিইওসহ উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে নিজেই সিইও পদে বসেন। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে প্রায়ই পোল খুলতে দেখা গেছে তাকে। এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধ অ্যাকাউন্ট ফের চালু করে দেওয়া হবে কিনা এ বিষয়েও জরিপ করেন তিনি। পরে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পর অনেকেই আগ্রহ হারিয়েছেন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে। গ্রাহকদের অভিযোগ, বাকস্বাধীনতার নামে টুইটারে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর হার আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে।