সুমন হোসেনঃমহেশপুর ঝিনাইদহ
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের অলিয়ার রহমানের পুত্র দিপু হোসেন (৩০) ও একই গ্রামের এক গৃহবধুর সাথে হাঁস বিক্রির টাকা নিয়ে বিরোধ হয়। এঘটনায় স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার দেয় ঐ গৃহ বধু। এঘটনায় ২৫শে জুন গভীর রাতে ঐ গ্রামের আশাদুলের চায়ের দোকানে স্থানীয় মাতব্বর খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে সালিশ বসে। এছাড়াও বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ঐগ্রামের গুলজার হোসেরন পুত্র রফিকুল ইসলাম, মারজন হকের পুত্র সাত্তার মিয়া, রহমত আলীর ছেলে আশাদুল ইসলাম ও রহিম বক্সের ছেলে আয়নাল হোসেন। এসময় ঐ গৃহ বধুকে শৃলতাহানী ও মারপিট করার জন্য দিপুকে অভিযুক্ত করে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করে মাতব্বরা। জরিমানার টাকা ঘটনা স্থালেই পরিশোধ করা হয়। কিন্তু টাকা গুলো এখনও বুঝে পায়নি ঐগৃহবধু।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান দিপু একজন হাঁস বিক্রেতা। ঐ গৃহবধু তার কাছ থেকে হাঁস ক্রয়করে টাকা পরিশোধ না করায় এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং দিপু তাকে একটি একটি চড় মারে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে দিপুর উপর চাপ প্রয়োগ করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিচারে যাতে তাকে মারপিট না করা হয় সেজন্য মাতব্বরদে পকেটে গোপনে সালিশের পূর্বে ২০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয়।
ঐ বিচারের দায়িত্বে থাকা একাধীক ব্যাক্তি সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তারা বলেন টাকা বিবাদীকে দিতে গেলে সে জরিমানার টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। সে কারনে টাকা গুলো ঐবিচারকের দায়িত্বে থাকা মাতব্বরদের কাছে আছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুজ্জামানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন শালীসের পরের দিন বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হই যে উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যাওয়ায় আমি উক্ত বিষয়ে কোন খোজ খবর নিইনি।
মানবাধীকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু বলেন ঘটনাটি সম্পূর্ন বে-আইনি। ফৌজদারী অপরাধের মত ঘটনা স্থানীয় মাতব্বরদের বিচার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।