অনলাইন ডেস্ক:
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধায় নিবেদিত ও উৎসর্গিত জামিয়া আরাবিয়া নুরুল ইসলাম (মাদ্রাসা ও এতিমাখানায়) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনের শুরুতে পবিত্র কুরআন খতম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা জাতীয় পতাকা বুকে জড়িয়ে ৭১ এর মহান শহিদদের মাগফিরাত কামনা ও দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করেছেন।
পরে শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত একটি বিজয় র্যালি মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ মাদ্রাসা পড়ুয়াদের এ র্যালিটি স্থানীয় মানুষের মাঝে বেশ চমক সৃষ্টি করেছে।
সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশু ও এতিমদের ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে, গেল বছর রাজধানীর উত্তরখানে জামিয়া আরাবিয়া নুরুল ইসলাম যাত্রা শুরু করে। যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ কমপ্লেক্সে মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানা রয়েছে। একসঙ্গে ৫০০ শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে থাকা-খাওয়াসহ ইসলামিক ও আধুনিক শিক্ষার সুবিধা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে সারাদেশের ইসলাম প্রিয় ও দেশপ্রেমিক মানুষের কাছে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এর স্মরণে এতিমখানায় আজ ২য় দিনের মতো চলছে বিজয় দিবস উদযাপন, বার্ষিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের খাটি দেশপ্রেমি নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে এসব কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান শেষে বিকালে মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বিজয় সন্ধ্যা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে দেশর শীর্ষ আলেম ও ইসলামিক স্কলাররা অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের প্রকল্প প্রধান ও জামিয়া আরাবিয়া নুরল ইসলাম এর মুহতামিম মাওলানা তোফায়েল গাজালি জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ৭১ মুক্তির সংগ্রামে লড়াই করেছেন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে গেছেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একের পর এক শিল্পকারখানা গড়েছেন। বেকারত্ব দূর করে অর্থনীতির চাকা চাঙা করার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজ আদর্শ দেশপ্রেমিক। আজকের এই দিনে আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন সংশ্লিস্টরা জানান, শিক্ষা, শান্তি, সেবা ও সামাজিক উন্নয়নই নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য। পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও পরোপকারের মাধ্যমে বিশ্বমানবতার কল্যাণেই এর যাত্রা। আর্তমানবতার সেবা, সমাজ সংস্কার, কর্মসংস্থান তৈরি, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, এতিম, গরিব, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভরণপোষণ, ছিন্নমূল ও পথবাসীদের পুনর্বাসন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ সব শ্রেণির নাগরিকের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর দেশ গড়ার দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ফাউন্ডেশনটি।