বাগেরহাট প্রতিনিধি
মোংলার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হচ্ছে উপকূল।বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কুমার স্বস্তিক জানান, পূর্ণিমার গোন, অতিবৃষ্টি ও সাগর উত্তাল থাকার কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি বেড়েছে মোংলার পশুর ও মোংলা নদীতে। এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ৪ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে মোংলার উপকূলে নিম্নাঞ্চল।
গত দুই-তিন ধরে পানির চাপ খুব বেশি। পানিতে ফেরিঘাট তলিয়ে গেছে। এছাড়া রাস্তা উপচে পশুর নদীর পানি ঢুকে বাড়িঘর ও চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে।
এদিকে, ২ ফুট উচ্চতার পানিতে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন। সুন্দরবনের অভ্যন্তরের নিম্নাঞ্চলে পানির চাপ ও উচ্চতা আরও বেশি। গোটা সুন্দরবনই স্থান বিশেষ দুই থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে সুন্দরবনের ভেতর পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে বনসহ বনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের রাস্তাঘাট। তবে পানিতে বনের ও করমজলের বন্যপ্রাণীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি এখনো পর্যন্ত চোখে পড়েনি। বনের অভ্যন্তরে উঁচু টিলা থাকায় সেখানে আশ্রয় নিতে পারছে বন্যপ্রাণীরা। সুতরাং বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তেমন একটা নেই।’