হাকিকুল ইসলাম খোকন ,বাপসনিউজঃজাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশ এর পক্ষে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটল এক বিবৃতিতে বলেছেন,ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশ আওয়ামী বাদ মুক্ত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের পতন হলেও রাষ্ট্র ও সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তাদের দোসররা বসে রয়েছে। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত বিজয় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের সম্ভাবনাময় পথ খুলে দিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের দোষররা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। এ ব্যাপারে সর্বস্তরের জনশক্তিকে সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। খবর বাপসনিঊজ।
দীর্ঘদিনের সরকার পতনের মাধ্যমে ৫ অগাস্টে এক নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এই বিজয় এমনি এমনি হয়নি। এরজন্য বহু ত্যাগ, বহু রক্ত দিতে হয়েছে। অথচ পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনও দেশবাসীর এই অর্জনকে ম্লান করে দিতে প্রতিনিয়ত নানামুখী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের এই অর্জনকে কোন অপশক্তির চক্রান্তে নস্যাৎ হতে দেয়া যাবে না।
ফ্যাসিস্টরা যাতে আগামীতে ফিরে আসতে না পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টদের বিদায় জানানো হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে ফ্যাসিস্টরা যাতে ফিরে আসতে না পারে, জনগণের দুর্বার প্রতিরোধের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ যেন চিরতরে নির্মূল হয়। নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সেই প্রত্যাশা সকলের ।
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত আগস্টের শুরুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ওই দেশটিতেই অবস্থান করছেন। আর এবার দেশটিতে তার অবস্থান করা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতীয় রাজনীতি।
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করেছেন, কিসের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয়ে দিয়েছে মোদি সরকার?
সোরেন আরও উল্লেখ করেছেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে থাকে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের “অনুপ্রবেশকারী” ইস্যুতে মন্তব্যের জবাবে সোরেন এসব কথা বলেন। রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
আগামী সংসদ নির্বাচনে যাতে ফ্যাসিস্টরা ফিরে আসতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আঞ্চলিক খয়রাতি দলগুলো বার বার ফ্যাসিস্টদের দালালি করেছে কিন্তু তারা এখনো ধরাছোয়ার বাহিরে।