অনলাইন ডেস্ক:
২০২২ সালে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোতে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। ২০২৩ সালেও সেই ধারা কমবেশি অব্যাহত ছিল। এবার বছরের শেষ প্রান্তে এসে জানা গেল, প্রযুক্তি খাতের মহিরুহ কোম্পানি গুগলে আবারও বিপুল পরিমাণ ছাঁটাই হতে পারে। এবার ৩০ হাজার কর্মীর চাকরি চলে যেতে পারে।
ছাঁটাইয়ের কারণ আর কিছু নয়, সেই বহুল চর্চিত এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। গুগল এখন তাদের বিজ্ঞাপন বিক্রয় বিভাগকে পুনর্গঠন করছে। কারণ, তাদের দৈনন্দিন কার্যসম্পাদনে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে। সে কারণে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে এই বিজ্ঞাপন বিক্রয় বিভাগে বড় ধরনের ছাঁটাই হতে পারে এবং সেই সংখ্যা ৩০ হাজার পর্যন্ত উঠতে পারে।
হিন্দুস্তান টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গুগলের বিজ্ঞাপনসংক্রান্ত আন্তবিভাগীয় বৈঠকে এ ছাঁটাইয়ের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। গুগল নতুন প্রজন্মের এআইভিত্তিক বিজ্ঞাপন চালু করার পর এ বাস্তবতা তৈরি হয়েছে।
এআইভিত্তিক বিজ্ঞাপন সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে গুগল গ্রাহকদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ওয়েবসাইট স্ক্যান করা ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে কি–ওয়ার্ড তৈরির সুযোগ দিচ্ছে এবং সেই সঙ্গে শিরোনাম, ছবি ও বিজ্ঞাপনের অন্যান্য সুবিধাও দিচ্ছে।
গত কয়েক বছরে এআই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গুগলের নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক ল্যাবরেটরিতে এ নিয়ে নানামুখী গবেষণা হচ্ছে এবং কীভাবে এর মাধ্যমে কোম্পানির কার্যক্রম আরও মসৃণভাবে পরিচালনা করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।২০২২ সালজুড়ে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোতে বিপুল ছাঁটাই হয়েছে। সেবার গুগলের ১২ হাজার কর্মীর চাকরি চলে যায়। সম্প্রতি এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই; বলেছেন, কী কারণে এই কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। সুন্দর পিচাই বলেন, এই ছাঁটাইয়ের কারণে কর্মীদের মনোবল দুর্বল হয়ে গেছে। যদিও পিচাই সেই ছাঁটাইয়ের সাফাই গাইতে গিয়ে বলেছেন, ছাঁটাই করা না হলে ভুল হতো। পরিস্থিতি খুব কঠিন ছিল, কিন্তু ছাঁটাই প্রয়োজনীয় ছিল বলে তার মত।
সুন্দর পিচাই বলেন, ছাঁটাই করা না হলে কোম্পানিতে জনবলের আধিক্য হতো, ফলে এখন এআইসহ বিভিন্ন খাতে যে বিনিয়োগ করতে হচ্ছে, তা খুবই কঠিন হয়ে যেত।