জাবি প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ‘পুলিশের গুলিতে’ ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়নের মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল গেইট সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে মিছিল বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে মশাল মিছিলটি শেষ হয়। গতকাল শনিবার বিকেলে বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে নয়ন গুলিবিদ্ধ হন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। পুলিশের গুলিতে নয়নের মৃত্যু হয়েছে বলে ছাত্রদল দাবি করলেও পুলিশ তা নিশ্চিত করেনি।
নিহত নয়ন বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বাঞ্ছারামপুর ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নয়নের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল শেষে বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
জাবি ছাত্রদলের শহীদ সালাম-বরকত হলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আফফান আলী বলেন, ‘নিশিরাতের ভোটের এই সরকার বিএনপির গনজাগরণে ভীত হয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির উপর আবারো গুম-খুনের মতো নগ্ন আচরণ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে সরকার মসনদ টিকিয়ে রাখতে চায়, কিন্তু তা সম্ভব হবে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনায় সাধারণ ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সকল দুঃশাসনের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’
মশাল মিছিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাবি ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. মিজানুর রহমান রনি, সাবেক সহ-সভাপতি নবীনুর রহমান নবীন, শহীদ সালাম বরকত হলে যুগ্ন আহবায়ক মো. আফফান আলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি রাব্বি হাসান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম আহমেদ অনিক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইস্রাফিল চৌধুরী সোহেল, শহীদ রফিক জব্বার হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিদুল ইসলাম রোমান, হুমায়ুন হাবিব হিরন, মনিরুজ্জামান সাগর, মশিউর রহমান রোজেন, সাইদুল ইসলাম, জর্জিস মো. ইব্রাহিম, সাইফ হাসান, জাহাঙ্গীর হোসেন, মেহেদী হাসান প্রিন্স, মাজহারুল আমিন তমাল, সাইফুল ইসলাম, আমির হোসেন, রায়হান হোসাইন মিল্টন, কে এম রিয়াদ, মমিনুর রহমান, আব্দুল্লাহ বাকি অন্তর, সাইদুল ইসলাম রাহুল প্রমুখ।