আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
কথায় আছে “স্বাদে ভরা রসমঞ্জুরীর ঘ্রাণ, চরাঞ্চলের ভুট্টা-মরিচ গাইবান্ধার প্রাণ”। মরুময় চরের উৎপাদিত ফসলের মধ্যে এই মরিচ চরাঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকার শুধু গল্পই নয় কৃষকের প্রাণ।
এখানকার চরের লাল মরিচ বা শুকনো মরিচের কদর রয়েছে দেশব্যাপী। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদী বেষ্টিত জেলার চার উপজেলার চর-দ্বীপচরের শত শত বিঘা জমিতে মরিচের ব্যাপক ফলন হয়ে থাকে। সাধারণত বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরই চরের পলিমাটিতে বীজ ছিটিয়ে দু’তিনবার নিড়ানী দিলেই বিনা সারে বিস্তর ফলন হয় মরিচের। গাছে মরিচ আধাপাকা হলে তা উঠানো হয়। এরপর রোদে শুকিয়ে বস্তায় ভরিয়ে বাজারজাত করা হয়।
আগে দেশি জাতের মরিচ চাষে তেমন লাভ হতো না, এখন হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষের কারণে কৃষকরা প্রতি বিঘায় লাখ টাকার বেশি আয় করছেন।
জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় মরিচ চাষ বেশি হওয়ায় এখানে জেলার একমাত্র মরিচের হাট বসে। গজারিয়া ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রসংলগ্ন হাটে বিভিন্ন চর থেকে প্রচুর মরিচ আসে। ‘ফুলছড়ি মরিচ হাট’ নামে পরিচিত এই হাট এখন লাল মরিচের আমদানিতে রঙিন হয়ে উঠেছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম জানান, গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় যে পরিমাণ মরিচের চাষ হয় তার অর্ধেকই উৎপন্ন হয় ফুলছড়ি উপজেলায়। আবহাওয়া ভালো তাই চরের উর্বর মাটিতে দিন দিন মরিচ চাষের পরিমাণ বাড়ছে।