খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনা বেতার কেন্দ্রে গত ৫ আগস্ট বিকেলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। হামলার পর গোটা বেতার কেন্দ্র ধংসস্তুপে পরিণত হয়। এতে করে গত ৯ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সম্প্রচার। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা বেতার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি যত দ্রুত সম্ভব আবার সম্প্রচার চালু করার দিক নির্দেশনা দেন। বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, সরকার পতনের পরপর অসংখ্য লোক বেতার কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে প্রথমে ভাঙচুর করে। এরপর মালামাল লুট করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ফলে বেতার কেন্দ্রের অবকাঠামো, সম্প্রচারের সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রপাতি, ভ্রাম্যমান সম্প্রচার গাড়িসহ সকল কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোনো কক্ষেই কোনো কিছু ভালো নেই, সবই নষ্ট হয়ে গেছে। হামলার পরপরই খুলনা বেতারের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায় এবং এখনও বন্ধ রয়েছে। পরিদর্শনকালে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, বেতারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) মো. ছালাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (বার্তা) এ এস এম জাহিদ, প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) মুনীর আহমদ, পরিচালক মো. বশির উদ্দিন, সিনিয়র প্রকৌশলী মো. শাহজাদা সেলিম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে খুলনা বেতারের সম্মেলন কক্ষে বেতার ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মহাপরিচালক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভার শুরুতে ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। সভায় আগামী ৩ দিনের মধ্যে ১টি বা ২টি কক্ষ সংস্কার করে বা অন্য স্থান থেকে সম্প্রচার শুরু, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুলনা বেতারকে আগের স্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য বিদ্যমান ভবনগুলো দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার উপযোগিতা পরীক্ষা করা, নতুন ভবন ও স্টুডিও নির্মাণ, নিরাপত্তার স্বার্থে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া ও রাতের বেলায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেন মহাপরিচালক।