ফরিদপুর প্রতিনিধি:২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খাল। বয়ে গেছে চর ইউনিয়নজুড়ে। আড়িয়াল খাঁ থেকে সৃষ্ট হয়ে কুমার নদে গিয়ে মিলেছে খালটি। এ খালের পানিতেই গোসলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালাতেন স্থানীয়রা। চলতো নৌকাও। তবে, সেই খাল ভরাট করে রাস্তা তৈরি করেছেন একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। এতে করে খালের এক পাশে পানি আছে তো, অন্যপাশে নেই। একপাশে পানি না থাকায় খাল ব্যবহার করতে পারছেন না স্থানীয়রা।
ঘটনাটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের কোষাভাংগা এলাকার। মাটির ট্রাক চলাচলের জন্যই ওই এলাকায় খালটি ভরাট করেছে নাছিরাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান খান। প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাছিরাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর খান ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান খানের বাড়ি সংলগ্ন কোষাভাংগা গ্রামের সরকারি খাল ভরাট করে ট্রাক যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে মাটি ভর্তি ট্রাক। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রভাবশালীরা রাতের বেলা বেকু দিয়ে চর থেকে মাটি তুলে ট্রাকে করে তা নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, আড়িয়াল খাঁ নদীর একটি শাখা থেকে কোষাভাংগা খালের উৎপন্ন। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিখাটা কুমার নদীতে গিয়ে খালটি মিলিত হয়েছে। তিন বছর আগেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সরকারিভাবে খালটি পুন:খনন করা হয়। বর্ষায় নৌকা ও ট্রলারে করে বহু মানুষ যাতায়াত করে থাকে।
এ ব্যাপারে নাসিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর খান বলেন, ‘খালের মাঝে রাস্তাটি তুলে ফেলার জন্য বলেছি। কিন্ত আমার চাচা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান খানসহ তার লোকজন আমার কথা শুনছেন না। এসিল্যান্ড অফিস থেকে লোক এসে নিষেধ করার পরেও তিনি তাদের কথা শুনেন নাই।’
খালের কিছু অংশ ভরাট করার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত শাহাজান বলেন, ‘মসজিদের জন্য চর থেকে মাটি আনা হচ্ছে। খাল বন্ধ করায় কারো কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। মাটি আনা শেষ হলে আমি রাস্তাটি কেটে দিব।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আপনার থেকে প্রথম শুনলাম। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’