পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে খাবারে সালাদ আর কাঁচা মরিচ না দেওয়ায় বর ও কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুর আড়াইটার উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, উপজেলার কুম্ভখালী গ্রামের নিজাম মিয়ার ছেলে মহেদী হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের বকু ফকিরের মেয়ে সুখি আক্তারের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ছেলে পক্ষ বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ির অনুষ্ঠানে যায়। এরপর খাবারে মাছ-মাংস এবং পোলাও দিলেও কাঁচা মরিচ ও সালাদ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কনে পক্ষের সঙ্গে বর পক্ষের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মিরাজুল ইসলাম বলেন, মতি হাওলাদার, ফিরোজ ও সালেহা নামে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ৭ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বগা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. সোহেল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আহতদের মধ্যে রফিক ও মিজান নামের দু’জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বলেন, কী আর বলবো, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।