আব্দুল জলিল পারভেজ,কুড়িগ্রাম,প্রতিনিধিঃ
২০২৪ সালের জাতীয় পর্যায়ের শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড ও পিএস অ্যাওয়ার্ড মূল্যায়নের পরীক্ষা ৮ মার্চ, ২০২৫ ইং তারিখ সকাল ১০ টায় কুড়িগ্রাম জেলায় দুইটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে কুড়িগ্রাম কামিল আলিয়া মাদরাসায়ও একটি কেন্দ্র ছিলো। উক্ত কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী উপজেলা গুলো ছিল কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী উলিপুর, রাজারহাট ও ভূরুঙ্গামারী। এ পরীক্ষা কেন্দ্রে মূল্যায়নকারী হিসেবে এলটি বাংলাদেশ স্কাউটস পঞ্চগড়ের মোঃ আরিফ হোসেন চৌধুরী,১৬ এলটি বাংলাদেশ স্কাউটস, রংপুরের মোঃ আব্দুর রহিম,ও উডব্যাজার বাংলাদেশ স্কাউটস, রংপুরের প্রতিনিধি জগদীশ চন্দ্র বর্মনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা আরম্ভ হলে পাঁচ মিনিট পরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক মেয়ে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, একজনের পরিবর্তে আর একজন পরীক্ষা দিতে এসেছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকা পরীক্ষক খাতায় সহি করতে গিয়ে ছেলে পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে মেয়ে পরীক্ষার্থীকে দেখতে পায়,এসময় তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় আমাকে পরীক্ষা দেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে তাই আমি পরীক্ষা দিতে এসেছি। সে তার বিদ্যালয়ের মোঃ নাঈম ইসলাম এর পরিবর্তে পরীক্ষা দেয়ার জন্য এসেছিল। ভুয়া পরীক্ষার্থী আরো জানায় তাকে জোর করে পরীক্ষা দিতে পাঠায় নাগেশ্বরী উপজেলার সাপখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ইউনিট লিডার এবং বাংলাদেশ স্কাউটসের এলটি দেওয়ান মোছাঃ রাশেদা খানম। আরো জানা যায় তিনি এরকম অনৈতিক কাজ পূর্বেও করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দেওয়ান মোছাঃ রাশেদা খানম জানান আমিও পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলাম, সেখানে ছেলে এবং মেয়ে দুজনই পরীক্ষার্থী ছিল।ছেলে যায়নি মেয়েটাই গেছিল পরে আমি বলেছিলাম মেয়েটার যদি পরীক্ষা দেওয়া যায় দেন আর যদি দেয়া না যায় দরকার নেই। আর আমি ছেলের পরিবর্তে মেয়েকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য পাঠাইনি।
এ বিষয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত পরীক্ষক মোঃ আরিফ হোসেন চৌধুরী জানান, জগদীশচন্দ্র পরীক্ষার খাতায় হাজিরা সহি করতে গিয়ে দেখতে পান ছেলের জায়গায় মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় আমাকে জোর করে পরীক্ষার হলে এনেছে আমার স্কুলের ইউনিট লিডার, একজন ছেলে পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে আমি পরীক্ষা দিচ্ছি। পরে পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়া বন্ধ করে তাকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে তার খাতা ঢাকা বোর্ডে পাঠিয়েছেন বলে জানান দায়িত্ব রত পরীক্ষক মোঃ আরিফ হোসেন চৌধুরী।