কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার লাকসামে প্রকাশ্যে মনির হোসেন নামে এক শ্রমিককে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে সহকারী শ্রমিক মাইন উদ্দিন। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার খিলাবাজার কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক মাইন উদ্দিনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে।
নিহত মনির হোসেন (৪০) নাঙ্গলকোট উপজেলার উরুকচাইল গ্রামের মৃত হাবীব উল্লাহর ছেলে। তিনি খিলাবাজারের আবুল খায়ের স মিলের গাছ কাটার শ্রমিক ছিলেন।
ঘাতক মাইন উদ্দিন (৩২) মনোহরগঞ্জ উপজেলা খিলা উত্তরপাড়ার আবদুল মান্নানের ছেলে ও একই স মিলের সহকারী কাঠ-শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার খিলাবাজারে আবুল খায়ের স মিলে (করাত কল) কাজ করতেন মাইন উদ্দিন ও মনির হোসেন। মাঝে মধ্যে গাছ কাটা নিয়ে ঝগড়া হতো তাদের। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার স মিলে কাজে আসেন তারা। ওই দিন সকালে স মিলে গাছ কাটার সময় মিস্ত্রি মাইন উদ্দিনের পায়ে গাছ পড়ে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
ওই দিন দুপুরে মালিকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ২ শ্রমিক বাজারের খবির উদ্দিনের হোটেলে ভাত খেতে যায়। খাবার টেবিলে পুনরায় উভয়ের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাইন উদ্দিন হোটেলের দা (বঁটি) নিয়ে মনিরকে কোপাতে যায়। এ সময় মনির প্রাণ বাঁচাতে দোকান থেকে বেরিয়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কে নেমে দৌড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মাইন উদ্দিন পিছনে দৌড়ে এসে সড়কেই মনিরকে বঁটি দিয়ে কোপায়। এতে মনিরের গলা কেটে গেলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে ঘাতক মাইন উদ্দিন পালানোর সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম ২ থানার পুলিশের সদস্যরা। লাশ উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক মাইন উদ্দিনকে আটক করে লাকসাম থানায় আনা হয়েছে।
২ সন্তানের জনক নিহত মনির হোসেনের স্ত্রী জরিনা আক্তার তার স্বামীর হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে লাকসাম থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক মাইন উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।