অনলাইন ডেস্ক:
একনজর দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়; সেই কচুর নাম কাঠালী কচু! আঁচড় কাটলে কচুর শরীর বেয়ে দুধ রঙের রস বের হয়। কাটলে ভিতরের রঙ হলুদ।এ ঘটনা দেখা গেল ময়মনসিংহের গৌরীপুরের উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে মঙ্গলবার কন্দাল ফসলের কৃষি মেলায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলার প্রথম দিনে হাজারও দর্শকদের মন জয় করছে ‘কাঠালী কচু’।
মেলার প্রদর্শনীতে এ কচু নিয়ে আসেন কৃষক আবু বক্কর। তিনি উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের মনাটি ব্লকের চরপাড়া গ্রামের ইংরাজ আলীর পুত্র।
চরপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের পুত্র ইংরাজ আলী এই প্রতিনিধিকে জানান, বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জমিনে তিনি এ কচু চাষ করেছেন। প্রত্যেকটি কচুর বয়স প্রায় ২ বছর। এ জমিনে তো অন্য কিছু হয় না। দেড় শতাংশ জমিতে ১৬০টি কচুর চারা রোপণ করেছিলাম। প্রত্যেক কচু প্রায় ৩শ টাকা করে বিক্রি করছি। এছাড়াও প্রত্যেক কচুর চারা বিক্রি করছি ১শ টাকা করে। প্রায় অর্ধলাখ টাকা এতে আয় হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কুমিল্লায় গিয়েছিলেন তাবলিগ জামায়াতের দাওয়াতি কাজে। সেখানে একজন কৃষক এ কচুর তরকারি দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করান। কচু খুব সুস্বাদু হওয়ায় সেখান থেকে এ জাত নিয়ে এসেছেন।
প্রতিবেশী কৃষক আফছার উদ্দিন জানান, তিনি এ কচু খেয়েছেন। অত্যন্ত সুস্বাদু আর ওজনও অনেক, প্রত্যেক কচুর ওজন আধামন (২০ কেজি) হবে। তিনি চারা নিয়েছেন; আগামীতে রোপণ করবেন।
এ প্রসঙ্গে উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আল আমিন জানান, কৃষক স্বপ্রণোদিতভাবে এ কচু চাষ করেছেন, ফসল ভালো হয়েছে। আর বাইঞ্জা বা পরিত্যক্ত মাটিতে এ কচু চাষ উপযোগী। ফলে কৃষক উভয় দিকে লাভবান হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আহমেদ মিলন বলেন, আমি এ কচু খেয়েছি, অত্যন্ত সুস্বাদু। কাচা খেলেও গলায় কুটকুট করে না। চারা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি।
মেলায় আসা অপর কৃষক আব্দুর রহিম জানান, আমি এ কচু জীবনে প্রথম দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি জানান, এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো এ কচুর চাষ হয়েছে। কৃষক লাভবান হলে এ কচু জাত সংগ্রহ-সংরক্ষণ এবং পার্শ্ববর্তী কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। মেলায় কৃষকরা দেখে উৎফুল্ল। আমরাও আনন্দিত।