অনলাইন ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে শুকরানা স্বরূপ সিজদায় অবনত টাইগার যুবারা।ভারতীয় শেষ ব্যাটসম্যান চেতন শর্মার উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর মাঠেই সিজদা দেয় আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ যুব দল।
রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ১১তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত।এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩৫.১ ওভারে ১৩৯ রানেই অলআউট হয় ভারত।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ ২০০ রানের কাছাকাছি যেতে পেরেছে মূলত নবম উইকেটে ফরিদ হাসান ও আল ফাহাদের ৩১ রানের জুটিতে।
১৬৭ রানেই ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য আশা জাগানিয়া ছিল। প্রথম ওভারে যুধাজিৎ গুহর বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের রানের খাতা খোলেন জাওয়াদ আবরার। অন্য প্রান্তে কালাম সিদ্দিকী অবশ্য রান বের করতে পারছিলেন না। যুধাজিতের বলে আউট হন ১৬ বলে ১ রান করে। জাওয়াদও আউট হন পাওয়ার প্লে শেষ হতেই, ২০ রান করে।
দলের সবচেয়ে বড় তারকা আজিজুল হাকিমও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ১৬ রানে আউট হয়েছেন। আজিজুলের উইকেট বড় ধাক্কা হয়ে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিভাগে। কারণ এই টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে অনেকটা একাই টানছিলেন তিনি।
৩১.৫ ওভারে ১১৫ রানে ৮ উইকেট হারায় ভারত। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারতীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তির আবহ নেমে আসে।
শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ৩০০ বলে ১৯৯ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ২৪ রানে ২ ওপেনারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর দলীয় ৪৪ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট।
তারপর দলের হাল ধরেন কেপি কার্তিক আর অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। এই জুটিতে তারা ২৯ রান যোগ করেন। এরপর শূন্য রানের ব্যবধানে ভারত পরপর দুই উইকেট হারায়। দলীয় ৮১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায়।
এরপর দলকে একাই টেনে নেনে অধিনায়ক আমান। দলীয় ১১৫ রানে অষ্টম উইকেট হিসেবে তার বিদায়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় ভারতে। শেষ পর্যন্ত ৩৫.১ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয় ভারত।