কৌশলী ইমাঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন একটি নতুন নীতির প্রস্তাব করেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসরত গ্রিন কার্ড আবেদনকারীদের তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রোফাইল পর্যালোচনার জন্য জমা দিতে হবে। এর আগে কেবলমাত্র দেশের বাইরে থেকে আসা ভিসা আবেদনকারীদের এই তথ্য সরবরাহ করতে হতো।
এখন মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (ইউএসসিআইএস) চায় এই প্রক্রিয়াটি স্থায়ী বাসিন্দা ও আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে আবেদন করা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য করতে।
ইউএসসিআইএস দাবি করছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ প্রয়োজন। সংস্থাটির মতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যালোচনা করলে পরিচয় যাচাই এবং সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকিগুলো শনাক্ত করা সহজ হবে। এই নীতিটি ‘বিদেশি সন্ত্রাসীদের এবং অন্যান্য জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার হুমকিগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করা’ শীর্ষক একটি নির্বাহী আদেশের সঙ্গে সংযুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তারা বিপজ্জনক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে পারবেন। তাদের যুক্তি এই ধরনের যাচাই প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীদের জন্য প্রযোজ্য, তাই এটি অভ্যন্তরীণ আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও কার্যকর করা উচিত।
বাকস্বাধীনতার ওপর দমন—পীড়নের আশঙ্কা
এই প্রস্তাবটি নাগরিক অধিকার সংগঠন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সমালোচকরা বলছেন, এটি বাকস্বাধীনতা ও গোপনীয়তার অধিকারের লঙ্ঘন। তাদের মতে এই নীতির ফলে অভিবাসীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করতে ভয় পেতে পারেন, কারণ তাদের পোস্ট ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে।
অনেকে আশঙ্কা করছেন, এই নীতির ফলে নির্দিষ্ট ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, বিশেষত যারা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করেছেন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সরকার বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক পোস্ট লাইক বা শেয়ার করলেও আবেদন বাতিল হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।