December 22, 2024, 4:20 am
ব্রেকিং নিউজ
১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন শনিবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন না খালেদা জিয়া যথাসময়েই হবে ইজতেমা, ছাড় পাবে না সহিংসতাকারীরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে: তারেক রহমান জুবায়েরপন্থিদের উস্কানিতে সংঘর্ষ, দাবি সাদ গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো যাবে না পুলিশ ভেরিফিকেশন কোথাও থাকবে না: কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরল ইভিএমে নয়, জাতীয় নির্বাচন হবে ব্যালটে: সিইসি স্কুলে ভর্তির লটারি আগামীকাল, ফলাফল দেখবেন যেভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন আন্দালিব রহমান পার্থ স্বাধীনতা বিক্রি করা আ.লীগ এখন ভারতে পালিয়েছে: জামায়াত আমির ২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা গ্যাস সংকট কেটে গেলে সারের ঘাটতি থাকবে না: শিল্প উপদেষ্টা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক কুমিল্লা বুড়িচং থানা শ্রীপুর গ্রামের কৃতিসন্তান মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৮৫ তম বাফা কোর্স ২০২৪, ফ্লাইং অফিসার পদে কমিশন লাভ

একদিনে সাড়ে চার হাজার খাতা মূল্যায়ন, দ্রুত নিয়োগ

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Thursday, December 5, 2024
  • 27 দেখা হয়েছে

রাজশাহী প্রতিনিধি:

মে মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কয়েক মাসে সাড়ে চার হাজারের বেশি আবেদনপত্র পড়ে ছিল। তবে রাজশাহীর বিদায়ি বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর তার শেষ কর্মদিবসের একদিন আগে ২৭ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র তিনদিনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। পরদিন বদলি হন ড. হুমায়ূন। এর আগে ২৬ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তার বদলির আদেশ হয়।

চাকরি না পাওয়া প্রার্থীদের অনেকেই বলছেন, শেষ মুহূর্তে অনেকটা ঝড়ের গতিতে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। একদিনের মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ মে ১০টি পদে ২৯ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ১৪ জন, অফিস সহায়ক পদে ছয়জন, ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর পদে দুজন এবং উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক, ডেসপ্যাচ রাইডার, নিরাপত্তা প্রহরী, মালী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে একজন করে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার দুটি পদ বাকি রেখে অন্য ২৭ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এসব পদে চাকরি পেতে ৪ হাজার ৬৭১ জন আবেদন করেছিলেন। ১৪ নভেম্বর তাদের কাছে পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাঠানো হয়। ২৯ নভেম্বর প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে সেদিনই মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়। পরদিনই হিসাবরক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এবং ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর পদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ব্যাবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয় রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। লিখিত ও ব্যাবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় পরদিন ১ ডিসেম্বর। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরই চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের তালিকায় স্বাক্ষর করেন বিভাগীয় কমিশনার এবং বিভাগীয় নির্বাচনি বোর্ডের সভাপতি ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। তিনি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে (সার্বিক) এদের অনূকুলে নিয়োগপত্র ইস্যু করার নির্দেশনা দেন।

হিসাবরক্ষক পদে আব্দুল হাকিম, ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর পদে ইমরান খান ও আসাদুল হক; অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে তাজুল ইসলাম সোহাগ, মেহেরাব-এ আরাফাত, আব্দুর রহমান, কাওসার রেজা, আলমগীর হোসেন, রাজু আহমেদ, রাকিব হোসাইন, রায়হান আলী, মোজাহারুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, রাকিব সরকার, বুলবুল হাসান ডলার, বায়োজিদ আলী ও তানভীর আহমেদ; অফিস সহায়ক পদে সজিব হোসেন, রুবিনা খাতুন, নাঈম তালুকদার, হাসান আলী, সেলিম হোসেন ও আলতাব হোসেন; ডেসপ্যাচ রাইডার পদে ইউসুফ আলী, নিরাপত্তা প্রহরী পদে আরিফুল ইসলাম, মালী পদে ইউসুফ আলী এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে শিবা বাবুর চাকরি হয়েছে।

চাকরি না পাওয়া এক পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদনপত্র অনেকদিন পড়ে ছিল। হঠাৎ তড়িঘড়ি করে লিখিত, প্র্যাকটিক্যাল ও ভাইভা নিয়ে তিনদিনের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন, সাড়ে চার হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা একদিনেই কীভাবে দেখা হয়ে গেল! খাতা যথাযথভাবে দেখা হয়েছে কি না, সেটা নিয়ে আমাদের সংশয় আছে।’

তিনদিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষের পরদিন সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিভাগীয় নির্বাচনি বোর্ডের সভাপতি ও বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বদলি হয়ে যান। তাই তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। এই নির্বাচনি বোর্ডের সদস্য সচিব ছিলেন বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) আরাফাত আমান আজিজ।

তিনি বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তড়িঘড়ি করে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এমনটি নয়। সাধারণভাবেই যতটুকু সময় লাগে, সেটাই লেগেছে। এখনো কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষা বাকি আছে। তড়িঘড়ি করলে বিদায়ি বিভাগীয় কমিশনার সেগুলোও শেষ করতেন।’

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102