স্পোর্টস রিপোর্টার:
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে জিম্বাবুয়ে। শুক্রবার গ্রুপ ‘বি’-এর শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করলো জিম্বাবুয়ে।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৩২ রান তোলে স্কটিশরা। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৩ রান তুলে ইতিহাস গড়ে জিম্বাবুয়ে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো খেলছে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু এবারই তারা প্রথম রাউন্ড টপকে মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেল। অন্যদিকে পঞ্চমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অংশ নেয়া স্কটল্যান্ড একবার মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেলেও এবার শুরুতেই বিদায়।
ইতিহাস পড়তে সহজ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটে ভালো হয়নি জিম্বাবুয়েরও। দলীয় ৪ রানে রেগিস চাকাভার উইকেট হারায় তারা। ৩ রানের ব্যবধানে মাধেভেরের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে আফ্রিকান দলটি। চাপ সামলে নেন অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজার সাথে যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।
২৩ বলে ৪০ রান করে রাজা আউট হন জশ ডেভির বলে। অর্ধশতকের পর ৮ রান যোগ করে ফেরেন আরভিনও। তখন শঙ্কা কিছুটা ভর করলেও কোনো বিপদ আসতে দেননি রায়ান বার্ল ও মিল্টন শুম্বা। তাদের ১৪ রানের জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে।
বাঁচামরার লড়াইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কটল্যান্ড। তবে জিম্বাবুয়ের পেসারদের দাপটে দলীয় ২৪ রানে টপঅর্ডারের দুই ব্যাটার মাইকেল জোনস ও ম্যাথু ক্রসকে হারায় তারা। জোনস ৫ বলে ৪ রান করে টেন্ডাই চাটারার বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৭ বলে মাত্র ১ রান করে ক্রস বিদায় নেন রিচার্ড এনগারাভার শিকার হয়ে।
শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার জর্জ মুনসে। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক রিচি বেরিংটন। ১৫ বলে ১৩ রান করে সিকান্দার রাজার বলে স্লগ সুইপ খেলতে মিডউইকেটে ধরা পড়েন বেরিংটন। চতুর্থ উইকেটে তাকে সঙ্গ দিতে নামেন ক্যালাম ম্যাকলিওড। উইকেট ধরে খেলতে গিয়ে টি-টোয়েন্টির রেশ হারিয়ে ফেলেন তারা।
৪৬ বল মোকাবিলায় ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন মুনসে। হাত খুলে খেলার চেষ্টা করতেই স্কয়ার লেগে শুম্বার হাতে ধরা পড়েন মুনসে। তাকে সাজঘরে ফেরান এনগারাবা। ৫১ বল মোকাবিলায় ৭ চারের মারে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে থামে মুনসের ইনিংস।
৯ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাইকেল লিস্ক। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ১৪ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন চাটারা। ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন এনগারাবা। মুজারাবানি ও সিকান্দার রাজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।