আল আমিন মিলন, আত্রাই, প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাইয়ে আলো ছড়াচ্ছে আত্রাই অনলাইন হেল্পডেস্ক। প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা জনগনের দোরগোড়ায় দ্রূত সময়ে পৌঁছে দেয়ার নিমিত্তে উপজেলা পরিষদের নিচ তলায় এটি স্থাপন করা হয়। যা গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ এর উদ্বোধন করেন। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মানবীয় উদ্যোগ হিসাবে এর খ্যাতি ছরিয়ে পরেছে। সম্প্রতি বছর পুর্তি উপলক্ষে সেবার মান বাড়াতে একটি প্রশিক্ষনের আয়োজন করা হয়। জনপ্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, ইউপি সচিব ও উদ্যোক্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি এতে অংশগ্রহণ করেন।
ইউএনও অফিস জানান, হয়রানি ও দালালমুক্ত উপজেলা প্রশাসনের সেবা মানুষের মাঝে দ্রæত সময়ে পৌঁছে দিতে কার্যক্রমটি চালু করা হয়। বছর পার হতে না হতেই ২ হাজারের অধিক মানুষ অনলাইনে সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানান তারা।
জানা যায়, সেবাগ্রহিতারা এড়ড়মষব এ গিয়ে যবষঢ়ফবংশ.ঁহড়ধঃৎধর.পড়স লিখে সাবমিট দিলে একটি পেজ পাবেন। সেখানে “কিভাবে সাহায্য করতে পারি?” লিখার উপর ক্লিক করলে কিছু তথ্য চেয়ে একটি পেজ আসবে। ওই পেজে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে সেবা গ্রহিতারা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করামাত্র তাঁকে একটি আইডি দেওয়া হয়। সেই আইডি ব্যবহার করে আবেদনের অবস্থান জানা বা প্রয়োজনে প্রিন্ট করা যায় বলে অফিস জানায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের নিচতলায় অফিস কর্তৃক অনুমোদিত মেহেদি নামে একজন কম্পিউটার নিয়ে বসে আছেন। সেবা প্রার্থীরা সারিবদ্ধ ভাবে তথ্য দিয়ে ১০ টাকার বিনিময়ে আবেদন করে নিচ্ছেন। এছাড়া আত্রাইয়ে যে কোন ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র, নিজস্ব অ্যান্ডোইড মোবাইল বা কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করা যাবে।
হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের ইয়াছিন আলী জানান, জমি ও দোকানের সমস্যা নিয়ে কয়েকদিন অফিসে এসে স্যারের সাথে দেখা করতে না পেরে চলে গেছি। আমাদের ওখানকার সাংবাদিক নাজমুল হোসেন সেন্টুর পরামর্শে বাজারে কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করি। ৩ দিনের মাথায় আজ তার সমাধান পেলাম। তিনি আরও জানান, এতো সুন্দর ব্যবস্থা ইউএনও স্যার করে রেখেছেন আগে জানতাম না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, জেলায় মিটিং ও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তদারকিসহ নানা কাজে অফিসের বাহিরে যেতে হয়। ওই সময়গুলো সেবা প্রার্থীরা এসে আমার সাথে সাক্ষাত করতে না পেয়ে ফিরে যান। এতে সাধারন মানুষ আর্থিক ও শারীরিক ভাবে হয়রানির স্বীকার হন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের সেবা জনগনের দোরগোড়ায় দ্রæত সময়ে পৌঁছে দিতে এ কার্যক্রম চালু করা হয়।