হোসেন মনির :
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে মধ্য জুলাইয়ে শুরু হওয়া তীব্র আন্দোলন আগস্টে গিয়ে চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। যেখানে সারাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক-শ্রমিক, দিনমজুর, ধনী সকল শ্রেণির অংশগ্রহণেই ঘটে ঐতিহাসিক এই গণঅভ্যূত্থান। তবে হঠাৎ করেই ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসেনি বলে মনে করেন কুমিল্লা (দ.) জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক,আদর্শ সদর উপজেলার আহবায়ক রেজাউল কাইয়ুম।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দীর্ঘদিনের অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন, গুম-খুন, দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারণে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়েছিল তারই বিস্ফোরণ ঘটেছে জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে। আর এই গণঅভ্যূত্থানের পটভূমি তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের ত্যাগের মাধ্যমে। বিশেষত: এক যুগেরও বেশি সময় ধরে হামলা-মামলা, গুম-খুন, অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্তেও উপরই।এই অত্যাচার-নির্যাতনের বিভিন্ন হামলা-মামলা থেকেও আমও মুক্তি পায়নি।এখনো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের কিছু নেতাকর্মীরা আমার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ অপবাদ চালাচ্ছে।এখনো ওই সকল ষড়যন্ত্রকারী মহল বসে নেই। একের পর এক তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইনশাল্লাহ এই সকল মিথ্যা বানোয়াট ও উদেশ্যে প্রণোদিত সংবাদে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে না। গণতন্ত্রের মানুষপুত্র তাক জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করে আমার উপজেলাকে বিএনপির দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াতির রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আদর্শের সৈনিক। এই সকল মিথ্যা ষড়যন্ত্র দিয়ে আমাকে আমার আদর্শচ্যুত করা যাবেনা।তিনি বলেন,শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড থেকে ১২টি পরিবহন প্রতিষ্ঠানের মোট ৩৮৫টি বাস চলাচল করে দৈনিক। এসব বাস থেকে নাকি আমি প্রতিদিন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নামেই দৈনিক ২৩ হাজার ১০০ টাকা চাঁদাবাজি করি। যা মিথ্যা বানোয়াট ও উদেশ্যে প্রণোদিত।
কুমিল্লা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা শ্রমিকদের নাম করে বাসগুলো থেকে চাঁদা তুলে তা শ্রমিকদের না দিয়ে নিজেরাই আত্মসাৎ করেছেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আমরা নতুন করে সংগঠনটির দায়িত্ব নিয়েছি। আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় অফিসে শ্রমিকদের জন্য বাস প্রতি ৫০ টাকা করে দেওয়া হয়। আমরা সেসব টাকা পরিবহনে নিয়োজিত শ্রমিকদের পেছনে ব্যয় করছি।