বগুড়া প্রতিনিধি:
ক্ষমতায় না আসতেই বিএনপির লোকজনের ‘পাওয়ার’ বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।রোববার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে হামলার শিকারের পর সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন হিরো আলম। পরে আদালত থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারপিট ও কান ধরে ওঠবস করান।
হামলাকারীরা তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগ ও বিএনপি নেতা রিজভীর বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ তুলে তাকে মারপিট করেন। প্রকাশ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটলেও উপস্থিত পুলিশ ও জনগণ তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেননি। পরে তিনি বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি হন।
হিরো আলম এ হামলার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বগুড়া আদালতের আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রনি সরকার হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
হিরো আলম বলেন, বিএনপির লোকজনকে বলি— আমাকে মেরে ফেলবেন মারেন, কোনো অসুবিধা নেই। আমি হিরো আলম মৃত্যুকে ভয় পাই না; পারলে মেরে ফেলেন। একজন হিরো আলম মরলে শত হিরো আলমের জন্ম হবে। বিনা অপরাধে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। সবার চেহারা দেখেছি; সবার বিরুদ্ধে মামলা করব। বিএনপির লোকজন ক্ষমতায় না আসতেই তাদের পাওয়ার বেড়ে গেছে।
রনি সরকার সাংবাদিকদের কাছে এ হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি ও বার সমিতির সদস্য বগুড়া জেলা বিএনপির এক যুগ্ম সম্পাদক নেতৃত্ব দিয়েছেন।
হামলার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে কটূক্তি ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ কারণে আদালত চত্বরে হিরো আলমকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে হিরো আলম দাবি করেন, তিনি কখনো তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করেননি। ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ পরিবারসহ তাকে ট্র্যাপ করে মামলা করতে বাধ্য করেছিলেন।