নিজস্ব প্রতিবেদক I পিতা তাহার ঔরষজাত সন্তানকে কাছে পেতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মায়ের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের দরুণ সন্তান আজ অবহেলিত। একমাত্র সন্তানকে কাছে পাচ্ছেননা একজন হতভাগা পিতা। পারিবারিক জীবনে দাম্পত্য কলহ আছে, থাকবে কিন্তু এর প্রভাব পরবে তাহার সন্তানের উপর এটা কোনভাবেই কারো কাম্য নয়। এমনই এক ঘটনা ঘটছে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকায়। খবরে জানাযায়, বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক তৌহিদুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২৫শে জানুয়ারী ইসলামী শরিয়ত মতো সামাজিকভাবে রেজিস্টারী কাবিন মূলে ডাঃ এ কে এম আবদুস সেলিমের কনিষ্ঠ কন্যা ফারহানা ইয়াসমিনকে বিবাহ করেন। বিবাহের ১ম দিন থেকেই চিকিত্সক তৌহিদুল ইসলাম তাহার স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিনের অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন। সন্দেহ সত্য হয় যখন চিকিত্সক তৌহিদুল ইসলাম তাহার স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিনকে তার পূর্বের প্রেমিকের সাথে পরকিয়া চালিয়ে যেতে দেখেন এবং বিবাহের ৬ মাস পর স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন তাহার স্বামীর সম্মুখে প্রকাশ্যে অবৈধ মাদক ইয়াবা গ্রহণ করেন। শ্বশুড় বাড়ির অনুরোধ ও স্ত্রীকে সুস্থ করার চেষ্টায় চিকিত্সক তৌহিদুল ইসলামের দাম্পত্য জীবনে এক পুত্র সন্তান তাফসিরুল ইসলাম তাজওয়ার জন্ম হয়। কিন্তু সন্তান জন্ম লাভ করিলেও সন্তানের প্রতি মায়া উপেক্ষা করে অভিযুক্ত ফারহানা ইয়াসমিন তাহার ইচ্ছামতো চলাফেরা করিতো, তাহার স্বামী বা শ্বশুড় বাড়ির লোকজন কিছু বলিলে উল্টা হুমকী ধামকি দিতো। ফারহানা ইয়াসমিন তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কথা বলিলে বা আইনের আশ্রয় নিলে আর সংসার করিবে না, উল্টা নারী নির্যাতনের মামলা মোকদ্দমা দিয়া শশুরবাড়ির লোকজনদের হয়রানি করিবে এবং নাবালক পুত্র তাফসিরুল ইসলাম তাজওয়াকে হত্যা করিবে বলিয়া হুমকি দিতো। চিকিৎসক স্বামী তাহার মান সম্মানের দিকে তাকিয়ে সন্তানের জীবন নাশের ভয়ে মুখ বুঝে সব সহ্য করিতেন। চিকিত্সক স্বামী তাহার স্ত্রী’র অস্বাভাবিক আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে তাহার অভিভাবক ও স্ত্রীর অভিভাবকদের জানাইয়া বিষয়টি নিজেদের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করে। তাহার স্ত্রীকে সঠিক পথে ফিরে আনার চেষ্টা চালিয়ে যায়, এক পর্যায়ে ফারহানার অভিভাবকগণ ও চিকিত্সক তৌহিদুল ইসলাম তাহার সুস্থতার জন্য তাহাকে ১৬/২/২০২১ তারিখ ঢাকায় মোহাম্মদপুরে অবস্থিত আহসানিয়া মিশন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করায়। সেখানে ফারহানা ইয়াসমিনকে ৩ মাস চিকিত্সা শেষে কিছুটা উন্নতি হলে পুনরায় বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। কিছুদিন ভালো থাকলেও পুনরায় সে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করানোর প্রতিশোধ নিতে ফারহানা তাহার পরকীয়া প্রেমিকদের প্ররোচনায় গত ১ জুন ২০২২ তারিখ সে তাহার বৈধ স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধন বিচ্ছেদ করে নিজেকে স্বাধীন করে ফেলে এবং চিকিত্সক তৌহিদুল ইসলামকে তাহার সন্তান তাফসিরুল ইসলাম তাজওয়ারকে দেখতে বা তার সাথে কথা বলার সকল পথ বন্ধ করে। এদিকে চিকিত্সক তৌহিদুল ইসলাম তাহার সন্তানের খোঁজে তাহার সাবেক শশুড় বাড়িতে গিয়া অপমান অপদস্ত হয়। পরবর্তীতে তিনি নিজে না গিয়ে তাহার পিতাকে নাতির খোঁজে ফারহানার বাড়িতে পাঠালে ঐ বাড়ির লোকজন তাহার সাথেও খারাপ ব্যবহার করে। পরবর্তীতে, তৌহিদুল ইসলাম তাহার স্ত্রীর সাথে সমঝোতার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হয়। এদিকে অভিযুক্ত স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন তাহার ইচ্ছামতো চলাফেরা করে ও তাহার সন্তান তাফসিরুল ইসলাম তালওয়ারে তরুন পোষন বাবদ তাহার পিতার নিকট থেকে নাবী করিয়া টাকা আদায় করে তা মাদক সেবনে ও বিপথে খরচ করে। চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম তাহার ঔরসজাত সন্তানকে হার নিকট রাখার জন্য তাহার আত্মীয় স্থান ও পারিবারিকভাবে সুরাহার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। ফারহানার উচ্ছৃঙ্খল আচরণের দরুন সন্তানের চরম অযত্ন-অবহেলা করছে ও তাহার ভবিষ্যত নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাফসিরুল ইসলাম তাজওয়ারকে শিক্ষার আলো থেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখা হয়েছে। ফারহানা ইয়াসমিন তাহার সন্তানকে যে কোন মূল্যে নিজের কাছে রাখিবে কিন্তু একি সাথে সন্তানকে নিয়ে যা খুশি করবে এমন এক ঘেয়েমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ফারহানা ইয়াসমিনের পিতা-মাতা এই বিষয়ে মেয়ের যথেচ্ছাচারকে কোন বাঁধা তো দেয়ইনি বরং মেয়ের অপকর্ম সম্পর্কে সকল তথ্য গোপন করিয়া তাহাকে সবরকম সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। উপায়ন্তর না পাইয়া চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম গত ৩১/১০/২০২২ তারিখ কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি অভিযোগ (৭৫১৬/M) দায়ের করেন এবং ০৬ /১১/২০২২ তারিখ বাদী হইয়া সহকারী জজ ২য় অতিরিক্ত পারিবারিক আদালত, ঢাকায় ফারহানা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে নিজ সন্তানকে হেফাজতে রাখার আবেদন করিয়া মোকদ্দমা দায়ের করেন যাহার পারিবারিক মোকদ্দমা নং-১২২৬/২০২২। মোকদ্দমায় বিজ্ঞ আদালত গত ২৯/১১/২০২২ তারিখ সন্তানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাহার বাবার কাছে রাখার নির্দেশ প্রদান করিলেও ফারহানা ইয়াসমিন সন্তান তাফসিরুল ইসলাম তাজওয়ারকে তাহার নিকট রাখিয়া মহামান্য আদালতে আদেশ সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে। চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম পুনরায় গত ০৪/১২/২০২২ তারিখ কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি অভিযোগ (৮৩০২/M) দায়ের করেন। সম্ভাব্য আইনী পদক্ষেপ থেকে বাঁচিতে বর্তমানে ফারহানা ইয়াসমিন গত ০৬/১২/২০২২ থেকে তাফসিরুল ইসলাম তাজওয়ারকে নিয়ে পলাতক আছেন। তাহাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আদালতের আদেশ মোতাবেক এই মুহূর্তে মাদকাসক্ত মা কোন ভাবেই বাচ্চা রাখতে পারেন না। ফারহানা ইয়াসমিনের কোন সন্ধান কিংবা নাবালক সন্তান তাফসিরুল ইসলাম তাজওয়ার এর কোন খোজ পেতে ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম সকলের সহায়তা চেয়েছেন। খোজ পেলে অতি সত্তর কোতোয়ালী থানা কুমিল্লা এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ সকল বিষয়ে ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সু্রাহার চেষ্টায় থাকিয়া প্রশাসনের মাধ্যমে তাহার ঔষরজাত সন্তানকে তাহার হেফাজতে নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন।