স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা রটিয়ে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের ৭মাস পর ফ্যাসিস্ট ইউনূসের তৎপরতায় ও নির্দেশনায় আয়নাঘর উন্মোচনের নাটক মঞ্চস্থ করেছে। খুনি ফ্যাসিস্ট ইউনূসের প্রযোজনা ও পরিচালনায় মঞ্চস্থ অতীব দুর্বল স্ক্রিপ্টের নাটক বাংলার জনগণ প্রত্যাখান করেছে। বিগত বছরের ৫ আগস্টে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য ম্যাটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে। জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে খুনি ফ্যাসিস্ট ইউনূস একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও গণহত্যাকারী ইউনূস সরকার নিজেদের অপরাধ ঢাকতে কল্পিত ও কথিত আয়নাঘরের গল্প বুনে। কিন্তু তখন র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছিল, ‘আয়না ঘর বলে কিছু নেই’। অথচ এর পরও এই সরকার সেই কল্পিত আয়নাঘর নির্মাণ ও তা জাতির সামনে তুলে ধরার নীলনকশা বাস্তবায়নে লিপ্ত ছিল। ফ্যাসিস্ট ইউনূস তার পারিষদবর্গ নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ও নকশায় নির্মিত সেই আয়নাঘর উন্মোচনের সস্তা নাটক মঞ্চস্থ করল।
তথাকথিত আয়নাঘরের কাঠামো, দেয়ালের রঙ ও চারপাশের পরিবেশ দেখলেই বোঝা যায় যে, এটি এই অবৈধ সরকারের সুগভীর পরিকল্পনার অংশ। এখন এই আয়নাঘর নামের মঞ্চস্থ নাটকের শক্ত ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে উপস্থাপন করা হবে। তারই অংশ হিসেবে সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নে দেশের বিভিন্ন স্থানে কবর থেকে মানুষের কঙ্কাল চুরি করা হচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। এসব নমুনা মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে এই নাটকের নতুন সিরিয়াল সংযোজন করা হবে। যেমনটি ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন গুড়িয়ে দেওয়ার পরও সেখানে কথিত আয়নাঘর প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা করা হয়। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকারের এহেন অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।