স্টাফ রিপোর্টার:
গত ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে চলছে লাকসাম বিজরা শাফি হাসপাতাল। এই সংবাদ প্রকাশের পর গত ২ জানুয়ারি সোমবার কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একটি বিশেষ পর্যবেক্ষক দল হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারটিতে অনিবন্ধিত ভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার প্রমান পাওয়া ৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা সময় লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আর এস ও ডাক্তার আসিফ ডাঃ মঞ্জুর এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো:খালেদ মাহমুদ এর সহযোগিতায় হাসপাতালের গেইটে ভিতরে একটি নোটিশ ঝুলিয়ে বলা হয় লাইসেন্স বাতিল হওয়ার কারণে অত্র হাসপাতাল/ডায়াগনস্টিক এর সকল কার্যক্রম বন্ধা ঘোষনা করা হলো এবং গেইটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজরা সাফি হাসপাতালের পরিচালক মাইনুদ্দিন,ভবনের মালিক নজরুল ইমলাম এবং বিজরা বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মো: সেলিম।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান গুলোকে এর আগেও তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জন্য নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তারা তারপরও কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। সোমবার কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একটি বিশেষ পর্যবেক্ষক দল হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারটিতে অনিবন্ধিত ভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার প্রমান পায়।
কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাদের কার্যকম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ পর্যবেক্ষক দল হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারটিতে অনিবন্ধিত ভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার প্রমান পাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দিকে প্রতিষ্ঠানটি নোটিশ এবং তালা দিয়ে বন্ধ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর যাবত বিজরা সাফি হাসপাতাল অনিবন্ধিত ভাবেই তাদের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছিলো। স্থানীয় গরীব দুস্থ রোগীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে অপচিকিৎসা এবং ভুল চিকিৎসায় রোগীর ক্ষয়ক্ষতিসহ এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ উঠে। ভুক্তভোগীরা এসব অভিযোগ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়েও পাঠান। স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন সময় এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানোর পরও তারা কার্যক্রম বন্ধ করেনি। অবশেষে গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে বিজরা সাফি হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম আরো জানান, আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নজরদারিতে রাখবো । তারা যেন কোন কৌশলে আবার কার্যক্রম পরিচালনা না করতে পারে।