September 19, 2024, 1:43 am
ব্রেকিং নিউজ

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর ওষুধ আনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Friday, August 2, 2024
  • 49 দেখা হয়েছে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনলজির ১৮১ ব্যাচের ফ্যাশন এন্ড টেকনলজি ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ছিল সেলিম তালুকদার (২৮)। ৪ বছর আগে পড়ালেখা শেষ করে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরিতে যোগ দেন তিনি। গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দলনের সময় ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমির ওষুধ আনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। রাজধানীর একটি হাসপাতালে ১৪ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সেলিমের মৃত্যু হয়।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সেলিম তালুকদারের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার দক্ষিণ মল্লিকপুর এলাকায়। ঢাকার গুলশান এলাকার রিং রোডে ভাড়া বাসায় বাবা-মায়ের সাথে থাকতেন তিনি। ৩ বোনের একমাত্র ভাই ছিল সেলিম। সেদিন স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে অফিসে যাবার প্রস্তুতি নিলেও যেতে পারেনি।

বাবা সুলতান তালুকদার বলেন, ‘আমি পেশায় একজন অটোমেকানিক হিসাবে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতাম। বর্তমানে প্রাইভেট রেন্ট-এ গাড়ি চালক। বিজিএমইএ ইউনিভার্ষিটিতে ফ্যাশন এন্ড টেকনলজি বিষয়ে সন্তানের পড়ালেখার সব খরচ আমিই বহন করেছি। ৪ বছর আগে পড়ালেখা শেষ করে চাকুরি শুরু করেছে আমার বাবা। আমাকে বলেছে, বাবা তোমার কষ্টের দিন শেষ হয়ে আসছে। আর বেশিদিন কষ্ট করতে হবে না। বেতন বাড়লেই তোমার কাজ বন্ধ করে দিব।”

তিনি বলেন, ‘১০ মাস আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সেলিম। বর্তমানে সেলিমের স্ত্রী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার সাথে খুব কম কথা বলত। ছাত্র জীবনে পড়ালেখা এরপর চাকুরি নিয়ে কাজে ব্যস্ত থাকত। মায়ের সাথেই বেশি কথা হতো। ঝালকাঠির কবিরাজবাড়ি এলাকায় শ্বশুর বাড়ি এবং আমাদের নলছিটির বাড়িতে মাসে একবার আসত। ঘটনার দিন ওর মাকে বলেছিল আমি ওষুধ নিয়ে ফিরে আসছি। বৌয়ের দিকে খেয়াল রেখো। তখন ওর মা বলেছিল বাহিরের অবস্থা ভালো না। সাবধানে যাবি, আবার তারাতারি চলে আসিস। সেদিন আমি ঢাকার বাহিরে ছিলাম। হঠাৎ বাবার গুলিবিদ্ধ হবার সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যায় সবাই। তারপর থেকেই আমার বাবা অজ্ঞান হয়ে লাইফ সাপোর্টে ছিল। কিন্তু তখন তাকে দূর থেকে দেখতে পেলেও আর কথা বলার সুযোগ হয়নি।’

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102