অনলাইন ডেস্ক:
‘আমি যখন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতাম আমাদের ক্লাসে প্রফেসররা ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং প্ল্যানিং নিয়ে লেকচার দিতেন। তখন তারা প্রায় সময়ই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাহরণ দিতেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কতটা উন্নয়ন হয়েছে সে বিষয়গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরতেন। আমি তখন নিজেকে অনেক কৃতজ্ঞ বোধ করতাম যে প্রধানমন্ত্রী শুধু আমাদের দেশকেই নয়, দেশের নাগরিকদেরও অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আর তার বিচক্ষণ ও সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বর্হিবিশ্বে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।’
সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন নগর পরিকল্পনাবিদ আয়েশা সাঈদ। ‘ঢাকার যানজট: মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ের প্রভাব’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা ইউলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা)। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যানজট ঢাকার দুঃখ বলে উল্লেখ করেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের মেয়ে আয়েশা সাঈদ। তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় বুড়িগঙ্গা নদী। যার কোল ঘেঁষে বেড়ে উঠেছে আমাদের প্রিয় রাজধানী। সুখ-দুঃখ আর আনন্দ বেদনা নিয়েই কাটানো আমাদের এই শহরের নাম ঢাকা। নানা সুখের মধ্যে অন্যতম দুঃখের যেটি প্রধান কারণ সেটি হচ্ছে যানজট।
তিনি বলেন, আজ আমরা এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেটে পৌঁছাতে পারছি মাত্র ৭-৮ মিনিটে। যেখানে আগে ফার্মগেট থেকে এয়ারপোর্টে যেতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগতো। ইতিমধ্যেই মেট্রোরেল ৬ এর কাজ শুরু হয়েছে। আরও মেট্রোরেল আসবে। সবগুলো মেট্রোরেল চালু হলে আমাদের নাগরিকদের জীবন যাত্রা পুরোটাই বদলে যাবে।
মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ফ্লাইওভারের কারণে ঢাকার একাংশে যানজট অনেকটাই কমেছে জানিয়ে আয়েশা সাঈদ বলেন, ঢাকার মানুষ আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। আমাদের কর্ম ঘণ্টা রাস্তায় নষ্ট না হয়ে আমরা তা আজ কাজে লাগাতে পারছি। যা আমাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঢাকাকে একটি স্মার্ট ঢাকা এবং একজন স্মার্ট নাগরিক হিসেবে দেখতে চাই। চলুন আমরা সবাই একসাথে প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ রূপ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করি।